বাধ্যতামূলকভাবে ভ্যাকসিন নেওয়ার সাপেক্ষে কিছু ক্ষেত্রে ধারণক্ষমতার সর্বোচ্চ সীমা প্রত্যাহারের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন অন্টারিওর জনস্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. কিয়েরান মুর। এর মধ্য দিয়ে নগরীর পেশাদার স্পোর্টিং ভেন্যুগুলোতে অধিক সংখ্যক দর্শক সমাগমের একটা সুযোগ তৈরি হবে।
অন্টারিও বর্তমানে রিওপেনিং পরিকল্পনার তৃতীয় ধাপে রয়েছে এবং এই ধাপে ইনডোরে কোনো ক্রীড়া অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ ১ হাজার এবং আউটডোরে ১৫ হাজার মানুষ জড়ো হওয়ার সীমা বেঁধে দেওয়া আছে। তবে অনেক ক্রীড়া আয়োজক ১২ বছর ও তার বেশি বয়সী সমর্থকদের জন্য ভ্যাকসিন গ্রহণ অথবা কোভিড পরীক্ষায় নেগেটিভ সনদ প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করেছে। এই অবস্থায় ধারণক্ষমতার সীমা কিভাবে বাড়ানো যাবে সেইে প্রশ্ন উঠছে।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ডা. কিয়েরান মুর বলেন, ভ্যাকসিনেশন বাধ্যতামূলক করার সাপেক্ষে অনেক ভেন্যুর ধারণক্ষমতার সীমা প্রত্যহার করা হলে তাতে তার সমর্থন থাকবে। তবে চূড়ান্ত বিচারে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার যে ফোর্ড সরকারের সেটাও স্বীকার করেন তিনি।
ডা. কিয়েরান মুর বলেন, কোনো পরিবেশে সবাই যদি ভ্যাকসিনেটেড হয়ে থাকেন তাহলে সেখানে ঝুঁকি অনেক কম থাকে এবং সরকারের সেটা বিবেচনায় নেওয়া উচিত। তাই আমার প্রত্যাশা ধারণক্ষমতার সীমা প্রত্যাহারের সুযোগ দিতে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। যদিও কিছু বিধিনিষেধ বহাল থাকবে।
তিনি বলেন, আমি দেখতে চাই অন্টারিওর ৯০ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন ডোজ পূর্ণ করেছেন। তবে এটা যে উচ্চাকাক্সিক্ষ লক্ষ্য সেটাও স্বীকার করেন তিনি।
টরন্টো র্যাপটরস, টরন্টো এফসি, দ্য টরন্টো ম্যাপল লিফস ও দ্য টরন্টো আরগোসের সত্ত্বাধীকারী প্রতিষ্ঠান ম্যাপল লিফস স্পোর্টস অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট। তারা বলছে, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি নাগাদ তাদের ভেন্যুতে কেউ প্রবেশ করতে চাইলে তাকে অবশ্যই পূর্ণাঙ্গভাবে ভ্যাকসিনেটেড হতে হবে অথবা কোভিডমুক্ত সনদ প্রদর্শন করতে হবে। নিয়মিত মৌসুমে শেষ ১২টি হোম গেমের ক্ষেত্রে দ্য ব্লু জেসও একই নীতি ঘোষণা করেছে।
নীতিটি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডা. মুর বলেন, আমি মনে করি এই বিষয়টি সরকার খুবই সহায়তার দৃষ্টিতে দেখবে এবং কোনো বিধিনিষেধ দিয়ে তাদেরকে টেনে ধরবে না। তবে সিদ্ধান্তটা একান্তই সরকারের।
৭৫ শতাংশ নাগরিকের ভ্যাকসিন ডোজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত বাকি বিধিনিষেধগুলোও প্রত্যাহারের পরিকল্পনা ছিল ফোর্ড সরকারের। কিন্তু ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউ পরিকল্পনাটির বাস্তবায়ন থামিয়ে দিয়েছে।