
টরন্টোর সাবওয়ে সিস্টেমে ওয়্যারলেস সেবার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছাতে টেলিকম কোম্পানিগুলোকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন কানাডার শিল্পমন্ত্রী ফ্রাসোয়াঁ-ফিলিপে শ্যাম্পেইন। টুইটারে প্রকাশ করা এক চিঠিতে তিনি বলেছেন, টরন্টো ট্রানজিট কমিশন সাবওয়ে স্টেশনে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের মালিক প্রতিষ্ঠানকে রজার্স কমিউনিকেশন্স ইনকর্পোরেশন অধিগ্রহণের যে ঘোষণা দিয়েছে সেটা আমি মাথায় রেখেছি।
বেল কানাডা, টেলাস কমিউনিকেশন্স ইনকর্পোরেশন, কুইবেকোর ইনকর্পোরেশন এবং রজার্সের প্রধান নির্বাহীদের সম্বোধন করে চিঠিটি লিখেছেন তিনি। তাদের উদ্দেশে শিল্পমন্ত্রী বলেছেন, গ্রাহকদের সেবা প্রদানের বন্দোবস্ত এখনো হয়নি। আমি চাই জরুরিভিত্তিতে বিষয়টি বিবেচনা করুক, যাতে করে তারা একটি ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে এবং অন্য কোম্পানিগুলো টিটিসি নেটওয়ার্কের প্রবেশাধীকার পায়।
আগামী ৩০ দিনের মধ্যে চিঠির জবাব দিতে টেলিকম কোম্পানিগুলোর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। সেখানে এ বিষয়ে তাদের নিজ নিজ অবস্থা এবং সব গ্রাহককে মোবাইল সেবা দিতে যৌথ পরিকল্পনার রূপরেখা দিতে বলা হয়েছে।
টিটিসির পাবলিক ওয়াই-ফাই ও সেলুলার নেটওয়ার্ক অবকাঠামো নির্মাণ ও পরিচালনা জন্য ২০১২ সালে কাজ পায় বিএআই কমিউনিকেশন্স ইনকর্পোরেশন। যদিও বিএআইয়ের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে গ্রাহকদের সেবা প্রদানে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কেবল ফ্রিডম মোবাইল। স্বাভাবিকভাবেই ফ্রিডম মোবাইল ছাড়া অন্য কোম্পানির গ্রাহকরা ৯১১ জরুরি কল ছাড়া বিএআই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারেন না। টিটিসি সিস্টেমে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার পর সব টরন্টোবাসী যাতে সাবওয়ে সিস্টেমে কল করতে পারেন সেই দাবি জোরালো হয়েছে।
২ হাজার ৬০০ কোটি ডলারে রজার্সের শ কমিউনিকেশন অধিগ্রহণের শর্ত হিসেবে কুইবেকোর শর কাছ থেকে ফ্রিডম মোবাইল কিনে নিয়েছে। রজার্স বলেছে, বিদ্যমান নেটওয়ার্ক তারা আধুনিকায়ন করবে। সাবওয়ে আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলের প্রায় এক-চতুর্থাংশ বর্তমানে এই নেটওয়ার্কের আওতায় রয়েছে। সেই সঙ্গে পুরো সিস্টেমের জন্য আগামী দুই বছর ৫জি নেটওয়ার্কও গড়ে তুলবে বলে জানিয়েছে রজার্স।
এদিকে কুইবেকোর বলেছে, শ্যাম্পেইনের চিঠি তারা পেয়েছে এবং তারা যে সাবওয়ে সিস্টেমে সেবা প্রদান অব্যাহত রাখবে সে ব্যাপারে টরন্টোবাসীকে আশ^স্ত করতে চায়। ফ্রিডম বর্তমানে এই সেবা প্রদানকারী একমাত্র সেলফোন অপারেটর।