
এক হাজারের বেশি মানুষকে যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছেন বলে বেশ গর্ব করেই বলেন ব্র্যাম্পটনের বাসিন্দা সিমরানজিত শ্যালি সিং। কীভাবে তিনি এটা করেছেন এবং এজন্য কি পরিমাণ অর্থ নিয়েছেন সেই তথ্য উঠে এসেছে নতুন এক নথিতে।
মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারতীয় বংশোদ্ভুত ৪০ বছর বয়সী সিমরানজিত সিং কর্নওয়াল আইল্যান্ড থেকে লোকদের ওকেসাসনে মোহক টেরিটোরির মধ্য পার করে দিতে। মোহক টেরিটোরি নিউ ইয়র্ক, অন্টারিও এবং কুইবেক ও সেন্ট লরেন্স নদীকে ছুঁয়ে গেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতে মানবপাচারে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
ইউএস অ্যাটর্নির কার্যালয় থেকে ব্র্যাম্পটন আদালতে দাখিল করা নথিতে বলা হয়েছে, উত্তরগামী অবৈধ বাসিন্দাদের কানাডায় এবং দক্ষিণগামীদের যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাতে সক্ষম হয়েছেন সিং। এক্ষেত্রে তিনি এএমআইআরের ভৌগলিক দুর্বলতার সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন। সিং নিজেও অবৈধভাবে কানাডায় বসবাস করছেন এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম হয়েছেন।
সেন্ট লরেন্স পাড়ি দিতে গিয়ে এই অঞ্চলেই দুই পরিবারের সদস্যদের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ ঘটনার সঙ্গে কোনো ধরনের সিংয়ের কোনো যোগসূত্র আছে কিনা তা জানায়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো।
কিছু অভিবাসী আমেরিকান আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানান, পার করে দেওয়ার বিনিময়ে সিং ৫ হাজার থেকে ৩৫ হাজার ডলার নিতেন। নথিতে পাচারের চারটি ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
২০২০ সালের মার্চের এক ঘটনায় এক ব্যক্তি ভারতীয় তিন নাগরিককে নিউ ইয়র্কের গ্রেট ভিউ মোটেলে রেখে যান। ওই ব্যক্তি সে সময় এক বার্তায় বলেন, আমি তাদের নিরাপদ জায়গায় নামিয়ে দিয়ে যাচ্ছি। জবাবে সিং বলেন, ঠিক আছে, তা নদী পার হচ্ছে। ওই ব্যক্তি উত্তর দেন, হ্যা। এক ভিডিওতে ওই ব্যক্তিকে গাড়ি নিয়ে মোটেলের দিকে এগিয়ে যেতে দেখা যায় এবং তিনজনকে সেখানে নামিয়ে দেন। এরপর কয়েক বোতল মদ নিয়ে তিনি সিংয়ের সঙ্গে দেখা করতে কর্ণওয়ালে যান এবং ৪ হাজার ডলার সংগ্রহ করেন। এটা ছিল তার চার্জ।
সিং নিজেও কানাডায় আশ্রয়ের আবেদন করে ব্যর্থ হন। কিন্তু ভারতীয় পাসপোর্ট না থাকায় তাকে ফেরত পাঠানো যায়নি। তার আইনজীবী এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।