সিরিয়ার প্রিজন ক্যাম্প থেকে দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে ছয় কানাডিয়ান শিশু। তাদের মাকে ছাড়াই কানাডায় ফিরবে তারা। ফেডারেল কর্মকর্তারা মায়ের নিরাপত্তা মূল্যায়ন সম্পন্ন না করায় সন্তানদের সঙ্গে আসতে পারছেন না তিনি।
শিশুগুলো প্রত্যাবাসন ফ্লাইটে অন্য কানাডিয়ানদের সঙ্গে আসবে নাকি তার সঙ্গে সিরিয়ায় থেকে যাবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণে কুইবেকের ওই নারীকে সময় দেওয়া হয়েছে। মায়ের অনুমোদনের ভিত্তিতে যেকোনো সময়ে তাদেরকে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন ফ্যামিলিজ এগেইন্সট ভায়োলেন্ট এক্সট্রিমিজমের আলেক্সান্দ্রা বেইন।
তিনি বলেন, আমি ব্যথিত। এর কোনো মানে হয় না। কানাডার কাছ থেকে আমরা এ ধরনের আচরণ আশা করি না।
কুর্দি বাহিনী পরিচালিত সিরিয়ার ক্যাম্পগুলোতে যেসব দেশের নাগরিকরা রয়েছে তার মধ্যে কানাডিয়ানরাও রয়েছে। শিশুদের মধ্যে রয়েছে তিন বছর থেকে ১৬ বছর বয়সী। কুইবেকে তাদের কোনো পরিবার নেই। এই ছয় শিশুর মধ্যে অন্তত দুইজনের জন্ম সিরিয়াতে। একেক গ্রুপে দুইজন করে মোট তিনটি গ্রুপে এই শিশুদের চাইল্ডকেয়ারে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে কুইবেক সোস্যাল সার্ভিস এজেন্সির।
শিশুগুলোর মা কবে নাগাদ উত্তরপূর্ব সিরিয়ার আল-রোজ ক্যাম্প থেকে কবে নাগাদ ছাড়া পাবেন বা আদৌ পাবেন কিনা সে ব্যাপারে তার কোনোন ধারণাই নেই। তবে তার সন্তানদের সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ হবে তা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন তিনি।
বেইন বলেন, সন্তানদের জন্যই তিনি এসব করছেন। তিনি কোনো ভুল করছেন কিনা তা নিয়েও তিনি বেশ আতঙ্কিত।
পরিবারটিকে আইনী সহায়তা দিচ্ছেন আইনজীবী লরেন্স গ্রিনস্পুন। তিনি বলেন, খুব কম মাকেই এ ধরনের সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হতে হয়। ওই নারীর নাম যেনো গণমাধ্যমে প্রকাশ না পায় বেইন এবং গ্রিন্সপুন উভয়্ েসে ব্যাপারে অনুরোধ জানিয়েছেন। বিষয়টির সংবেদনশীলতা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এই অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।