পদত্যাগের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন ইউনিপেগের পুলিশপ্রধান ড্যানি স্মিথ। সেই সঙ্গে দুই আদিবাসী নারীর দেহাবশেষ উদ্ধারের ব্যাপারে তার সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি। নগরীর বাইরে কোথাও সেগুলো রয়েছে বলে তার ধারণা। ম্যানিটোবার ফার্স্ট নেশন গ্রুপগুলো ও গণমাধ্যমের সামনে এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন ড্যানি স্মিথ।
তিনি বলেন, তার সামর্থ্য অনুযায়ী তিনি তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন এবং নারীদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন বন্ধ করার ব্যাপারে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
গত বসন্তে মরগ্যান হ্যারিস ও মার্সিডিস মিরানের মরদেহ প্রেইরি গ্রিন ল্যান্ডফিলে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের ধারণা। তবে অনেক সময় চলে যাওয়ার কারণে মরদেহ দুটি খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা কম হওয়ায় তারা তল্লাশি চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়নি। এছাড়া এরই মধ্যে সেখানে ১০ হাজার ট্রাক আবর্জনা ফেলা হয়েছে।
হ্যারিস, মিরান, রেবেকা কন্টয়িস ও আদিবাসী নেতাদের ভাষায় বাফেলো উইম্যান নামে আরেকজনকে হত্যার অভিযোগে জেরেমি স্কিবিকির বিরুদ্ধে ফার্স্ট ডিগ্রি হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ বলছে, তাদের ধারণা এই চার নারীকে গত বসন্তে হত্যা করা হয়। যদিও তদন্তকারীরা এখন পর্যন্ত কেবল কন্টয়িসের মরদেহেরই সন্ধান পেয়েছে। ইউনিপেগের একটি গ্যারবেজ বিনে ও আলাদা একটি ল্যান্ডফিলে তা পাওয়া যায়।
প্রেইরি গ্রিন ল্যান্ডফিলে তল্লাশি না চালানোর সিদ্ধান্তের ঘটনায় পুলিশপ্রধান ড্যানি স্মিথের পদত্যাগ দাবি করেছেন হ্যারিসের পরিবার ও আদিবাসী নেতারা। তবে স্মিথ বলেন, পরিবার, আদিবাসী নেতৃত্ব ও কমিউনিটির কাছ থেকে দাবিটির বিষয়ে আমি শুনেছি। আমি আপনাদের দাবিটি বুঝতে পারি। এর কষ্ট ও দুঃখ অকল্পনীয়। রেবেকা, মার্সিডিস, মরগ্যান ও বাফেলো উইম্যানের ন্যায়বিচার চাই আমি। আমি পদত্যাগ করছি না। এ ঘটনার তদন্ত হচ্ছে সবচেয়ে জটিল তদন্তগুলোর একটি এবং আমার সময়ে গুরুত্বপূর্ণ হোমিসাইড তদন্ত।
মরদেহগুলোর সন্ধানে সম্ভাব্য উপায় নিয়ে বৃহস্পতিবার উইনিপেগ পুলিশ বোর্ড মেয়র স্কট গিলিংহামের সঙ্গে দেখা করেন স্মিথ। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই উদ্যোগের দায়িত্ব মেয়র যাকেই দিক না কেন আমি তার সঙ্গে কাজ করব।