
কোভিড-১৯ দমন-পীড়নের মধ্যে চীনের প্রত্যেক নাগরিকের মত প্রকাশের সুযোগ থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। চীনের রাষ্ট্রদূতের ভিডিও ধারণ থেকে সাংবাদিককে নিবৃত করা উচিত হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিধিনিষেধে ক্ষুব্ধ চীনের নাগরিকরা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পদত্যাগ দাবি করেছেন। কয়েক দশকের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় গণবিরোধিতা। বিক্ষোভের পর শাসকরা হংকংসহ মূল ভূখ-ের অন্তত আটটি শহরের বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। তবে বৃহৎ পরিসরে জিরো-কোভিড নীতি থেকে সরে আসার কোনো ইঙ্গিত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এখনো পাওয়া যায়নি। এই নীতির ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষ কয়েক মাস ধরে ঘরবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের সরব হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন জাস্টিন ট্রুডো। তিনি বলেন, কানাডা পরিস্থিতির দিকে ঘনিষ্ঠ নজর রাখছে। অবশ্যই চীনের প্রত্যেক নাগরিকের মত প্রকাশের সুযোগ থাকা উচিত। সেই সঙ্গে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও বিক্ষোভ করতে দেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, চীনকে আমরা এটা জানানো নিশ্চিত করতে চাই যে, আমরা সবাই মানবাধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছি। যারা তাদের মত প্রকাশ করছে আমরা তাদের পাশে থাকবো। একইে সঙ্গে আমরা এটাও বলতে চাই যে, চীন ও বিশে^র অন্যান্য স্থানে সাংবাদিকদের যেনো সম্মান দেখানো হয় এবং তাদের দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হয়।
গত শীতে বিক্ষোভ দমনে ট্রুডোর জরুরি আইন প্রয়োগ নিয়ে শুনানির কয়েক সপ্তাহ পর তিনি এ মন্তব্য করলেন।
২৬ নভেম্বর ইউনিভার্সিটি অব অটোয়ার শিক্ষার্থীদের সামনে দেওয়া বক্তৃতায় চীনের রাষ্ট্রদূত কং পেইউ বিক্ষোভ থামাতে তার দেশের অবস্থানের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। এ সময় অনেকেই বেইজিংয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কং বলেন, চীনে নীতিটি ভালো কাজ করছে। বৈজ্ঞানিক তথ্য-প্রমাণ সামনে আসতে থাকায় কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করেছে বেইজিং। চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের দর্শন হচ্ছে জনগণকে, জীবনকে সবার আগে স্থান দেওয়া। দৈনন্দিন কার্যক্রমে কোনো ধরনের ভুল হচ্ছে কিনা তা জানতে বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা খবরগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ছেন।
চীনে মুক্ত গণমাধ্যমের সুযোগ নেই এবং বিভিন্ন ইস্যুতে ইন্টারনেটকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে।