বদলে যাওয়া বৈশ্বিক হুমকি মোকাবিলায় কানাডা প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অনীতা আনান্দ। পোল্যান্ডে মিসাইল বিস্ফোরণের ঘটনায় রাশিয়ার যুদ্ধ ন্যাটো দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা, জাস্টিন ট্রুডো ও চীনের প্রেসিডেন্টের মধ্যে তিক্ত কথা-বার্তা, উত্তর কোরিয়ার ব্যালাস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা এবং আর্কটিকে সঠিক জরিপের প্রস্তুতির ঘাটতি নিয়ে অডিটর জেনারেলের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করলেন তিনি।
সিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, একসঙ্গে একাধিক কাজ করতে পারাটা কানাডার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমাদেরকে বহুপাক্ষিক জোট ন্যাটোতে অবদান রাখা এবং একইসঙ্গে ইউক্রেনে দ্বিপাক্ষিক সহায়তা দেওয়ার সামর্থ অর্জন করা দরকার। সেই সঙ্গে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতায় আমাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করাটাও দরকার। সেটাই আমরা করছি।
এমন এক সময় তিনি এসব কথা বললেন যখন বিশে^র প্রতিরক্ষা নেতারা হ্যালিফ্যাক্সে জড়ো হতে যাচ্ছেন। শনিবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রওী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে ইউক্রেনকে সমর্থনের ব্যাপারে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন অনীতা আনান্দ। নর্থ আমেরিকান অ্যারোস্পেস ডিফেন্স কমান্ডের (নোরাড) আধুনিকায়ন নিয়েও কথা বলেন তারা।
সিটিভিকে অনীতা আনান্দ বলেন, কানাডা তার মিত্রদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রজ্ঞাবান থাকার চেষ্টা করছি। বিশেষ করে পোল্যান্ডে মিসাইল হামলার প্রসঙ্গটি এলে। ওই হামলায় দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। প্রাথমিক উদ্বেগ হলো মিসাইলটি রাশিয়া থেকেই ছোড়া হতে পারে এবং এটাকে ন্যাটো দেশেল বিরুদ্ধে হামলা হিসেবে মনে করা যেতে পারে।
এদিকে কানাডার সঙ্গে চীনের সম্পর্ক নতুন করে আলোচনায় এসেছে। ট্রুডোর সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্টের বিবাদের একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এই দুই দেশের সম্পর্ক কোন জায়াগায় তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে মানুষের মধ্যে।
আর্কটিকের বিভিন্ন ভেসেল পরিবর্তন করা দরকার এবং কানাডা সরকার এ ব্যাপারে বিলম্ব করলে বলে অডিটর জেনারেল কারেন হোগান তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে অনীতা আনান্দ বলেন, আগামী ২০ বছরের জন্য প্রতিরক্ষা খাতে বাড়তি ৪ হাজার কোটি ডলার ব্যয়ের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৫০০ কোটি ডলার যাবে নোরাডে।