
অন্টারিও লাইন নির্মাণে প্রাথমিক যে ব্যয় ধরা হয়েছিল তা বেড়ে প্রায় দ্বিগুন হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় দাঁড়াতে পারে ১০০ কোটি ডলার। ২০১৯ সালে ফোর্ড সরকার যখন ১৫ দশমিক ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সাবওয়েটি নির্মাণের পরিকল্পনা করে তখন ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছিল ১ হাজার ৯০ কোটি ডলার। ২০২৭ সালের মধ্যে এটির নির্মাণ শেষ করার কথা বলা হয়েছিল।
যদিও ইনফ্রাস্ট্রাকচার অন্টারিওর চলতি মাসে প্রকাশিত নথি বলছে, দুইটি চুক্তির আওতায় ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার এরই মধ্যে দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি ২০৩১ সালে শেষ হবে বলে এখন বলা হচ্ছে।
ইনফ্রাস্ট্রাকচার অন্টারিও এর আগে বলেছিল, কাজ দেওয়ার পর চুক্তি দুটির প্রতিটির সঙ্গে ১০০ থেকে ২০০ কোটি ডলার যোগ হবে। এর ফলে ব্যয় দাঁড়াতে পারে ১ হাজার ৯০০ কোটি ডলার।
এনডিপির ইনফ্রাস্ট্রাকচার ক্রিটিক জেনিফার ফ্রেঞ্চ বলেন, এটা হতাশাজনক এবং জনগণেরও হতাশ হওয়া উচিত। আপনাদের মতো আমিও মনে করি মূল্যস্ফীতি একটা বিষয় এবং সেটা বাস্তব। তবে সব দায় মূল্যস্ফীতির ওপর চাপানোকে কেউ বিশ^াস করছে না।
অন্টারিও লাইনের ব্যয় বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় কারণ ৩০ বছর মেয়াদে একটি যৌথ কোম্পানিকে এর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া। এ বাবদ বড় জোর ২০০ কোটি ডলার ব্যয় হবে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছিল মেট্রোলিংক্স। কিন্তু ১৭ নভেম্বর যখন চুক্তির কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয় তখন এ ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৯০০ কোটি ডলারে।
এছাড়া এক্সিবিশন প্লেস থেকে পশ্চিমে ডন রিভার পর্যন্ত লাইনের দক্ষিণ অংশ নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় হিসাব করা হয়েছিল ৪০০ কোটি ডলার। কিন্তু এ মাসের গোড়ার দিকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০০ কোটি ডলারে।
পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এ ব্যাপারে বলেন, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ও সরবরাহ ব্যবস্থার সংকটের কারণে বিশ্বব্যাপীই নির্মাণ প্রকল্পগুলো অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে। অন্টারিও লাইনের ক্ষেত্রেই যে কেবল এমনটা তা নয়।
যদিও ফ্রেঞ্চ বলেন, করদাতাদের কাছে ফোর্ড সরকারের এর পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা দেওয়া প্রয়োজন। প্রকল্প সম্পন্নের তারিখ দুই বছর পিছিয়ে ২০২৬ সাল হওয়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
২০১৯ সালে ফোর্ড সরকার গ্রেটার টরন্টো অ্যান্ড হ্যামিল্টন এরিয়ার ২ হাজার ৮৫০ কোটি ডলারে ব্যয়ে ট্রানজিট সম্প্রসারণের যে ঘোষণা দেয় অন্টারিও লাইন তার কেন্দ্রে রয়েছে।