ইরান সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর আনুষ্ঠানিকভাবে কানাডায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ফেডারেল সরকার। কদাচিত ব্যবহৃত হয় এমন নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে, যার ফলে সীমান্ত এজেন্টরা বিদেশিদের কানাডায় প্রবেশে বাধা প্রদান করতে পারে।
ফেডারেল মন্ত্রীরা সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এটা নিশ্চিত করেছেন। এর অংশ হিসেবে দুই মাস আগে প্রতিশ্রুত ইমিগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজি প্রটেকশন অ্যাক্ট কার্যকর করা হলো। এর ফলে কানাডায় এরই মধ্যে অবস্থান করছেন এমন যেকোনো ইরানি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষ তদন্ত করতে পারবে বলেও নিশ্চিত করেন মন্ত্রীরা।
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গত ৭ অক্টোবর পদক্ষেপটি কার্যকরের ব্যাপারে আগ্রহের কথা ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে মানবাধিকার কর্মীদের বিক্ষোভে দমন-পীড়নের মধ্যে ইরানের ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরও ভালোভাবে বাস্তবায়নের জন্য ৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার তহবিলও ঘোষণা করেন তিনি।
পুলিশ হেফাজতে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনি মারা যাওয়ার ঘটনায় প্রায় দুই মাস আগে বিক্ষোভ শুরু হয়। সঠিকভাবে হিজাব না পরার অভিযোগে মোরালিটি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
জননিরাপত্তা মন্ত্রী মার্কো মেন্ডিসিনো সোমবার বলেন, ইরানি প্রশাসনকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে এটা খুবই বড় পদক্ষেপ। এর ফলে এ ঘটনায় জড়িত ইরানে সরকারের ঘনিষ্ঠরা, নীতি নির্ধারকরা ও পাওয়ার ব্রোকারদের জন্য কানাডায় প্রবেশ চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে। অর্থাৎ, এই নিপীড়নের মূল হোতা ইসলামিক রেভ্যুলশনারি গার্ডের সদস্যরা কোনোদিনই কানাডায় পা রাখতে পারবে না।
তিনি বলেন, দ্রুত এই পদক্ষেপ কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সির কর্মকর্তারা কীভাবে বাস্তবায়ন করবেন তা নিশ্চিতে আমি কাজ করছি।