
সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে ফেডারেল ও প্রাদেশিক সরকারের কাছে আশু তহবিল প্রতিশ্রুতি চেয়েছেন টরন্টো মেয়র জন টরি। বাড়তি তহবিল না পেলে সেবা কমানো এবং কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।
১৪০ কোটি ডলার ঘাটতিসহ ২০২২ সালের পরিচালন বাজেট গত ফেব্রুয়ারিতে অনুমোদন করেছে সিটি কাউন্সিল। প্রাদেশিক ও ফেডারেল সরকারের কাছ থেকে বাড়তি তহবিল প্রাপ্তির আশায় বাজেটে এই ঘাটতি রাখা হয়েছে। অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড এবং ফেডারেল অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের কাছে পাঠানো চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, বর্তমানে ঘাটতির পরিমাণ ৮১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। কোভিড-১৯ এর প্রভাবেই এই ঘাটতি।
এর মধ্যে আছে টিটিসির লোকসান, নগরীতে আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ভ্রমণ বিধিনিষেধের কারণে রাজস্ব ক্ষতি ও সশরীরে কাজ কমে যাওয়া। ফোর্ড ও ফ্রিল্যান্ড এগিয়ে না এলে সেবা উল্লেখযোগ্য কমানো জরুরি হয়ে পড়বে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন জন টরি।
চিঠিতে তিনি লিখেছেন, কানাডা সরকার ও অন্টারিও প্রদেশের কাছ থেকে অব্যাহত সহায়তার বিষয়টি পুনরায় তুলে ধরতেই আজ এ চিঠি লিখছি। আমাদের নগরীর অর্থনীতির ওপর কোভিড-১৯ এর অব্যাহত যে প্রভাব তা থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে চাই, যাতে করে আমাদের নাগরিকদের জন্য প্রয়োজনীয় দদরকারি পরিষেবা ব্যাপক হারে বাদ দিতে না হয়। বিপুল কর আরোপ করা হলে তার ভার তারা বহন করতে পারবে না। তা না হলে আমাদের মূলধনী বাজেট চোট করতে হবে, যার ফলে হাজারো কর্মীকে বিদায় দিতে হবে এবং আমাদের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার হুমকিতে পড়বে।
ট্রানজিটের কারণে সৃষ্ট ঘাটতি মোকাবিলায় সিটি কর্তৃপক্ষ চলতি বছর এরই মধ্যে ফেডারেল ও প্রাদেশিক সরকারের কাছ থেকে ৪৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার পেয়েছে। কিন্তু জন টরির হিসাব অনুযায়ী, টরন্টোর ঘাটতি এর চেয়ে ঢের বেশি।
পাশাপাশি সম্পদ কর মূল্যস্ফীতির নিচে রাখার প্রতিশ্রুতিও বজায় রেখেনে জন টরি। ২০২২ সালে সম্পদ কর ২ দশমিক ৯ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় মেয়র বলেছিলেন, দক্ষ আর্থিক ব্যবস্থাপনা, টিটিসি এবং সরকারের অন্যান্য অংশীদারকের থেকে রাজস্বের সুবাদে বাজেটে ভারসাম্য থাকবে। যদিও ঘাটতি পূরণে মেয়র যে অংশীজনদের কাছ থেকে লক্ষ্যণীয় পরিমাণ সহায়তার ওপর নির্ভর করছেন চিঠির ভাষা তারই প্রমাণ দিচ্ছে।