
শিশুদের চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত কিছু অ্যান্টিবায়োটিকের ঘাটতির কথা জানিয়েছে কানাডার কিছু ওষুধ কোম্পানি। এ অবস্থায় ফার্মেসিস্টরা চিকিৎসা পরিকল্পনা পুনর্বিন্যাস করছেন।
হেলথ কানাডার তথ্যমতে, চারটি ওষুধ কোম্পানি অ্যামোক্সিসিলিনসমৃদ্ধ অ্যান্টিবায়োটিকের স্বল্পতার কথা জানিয়েছে।
শিশুদের অসুস্থতায় অ্যামোক্সিসিলিন ‘গো-টু’ ড্রাগ। অনেক সাধারণ সংক্রমণের চিকিৎসায় এটাই প্রথম পছন্দ এবং এর বহুল ব্যবহার হয়ে থাকে। নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও কানের প্রদাহে অ্যামোক্সিসিলিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
কানাডার ড্রাগ শর্টেজ ডেটাবেজে অ্যামোক্সিসিলিনের স্বল্পতার কথা উল্লেখ করেছে সানিস হেলথ, অ্যাপোটেক্স, জিএসকে ও টেভা কানাডা। হেলথ কানাডা বলছে, আরও আটটি ওষুধ কোম্পানি রয়েছে, যারা অ্যামোক্সিসিলিন সরবরাহ করে থাকে তারা এখন পর্যন্ত কোনো সরবরাহ স্বল্পতার কথা জানায়নি।
হাসপাতাল মজুদের ওপর ঘনিষ্ঠ নজর রাখছে। সরবরাহ সংকট মোকাবিলায় ফার্মাসিস্টরাও চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বিকল্প ওষুধের পরিকল্পনা করছেন। আপনার প্রধান হাতিয়ারটি যখন বাক্স থেকে বের করে নেওয়া হবে তখন আপনাকে বিকল্প কিছু চিন্তা করতেই হবে। বিকল্প চিকিৎসা নির্ভর করে সংক্রমণের ধরন ও রোগীর বয়সের ওপর। যেমন কোনো শিশুর যদি বুকে সংক্রমণ ধরা পড়ে সেক্ষেত্রে চিকিৎসক ও ফার্মাসিস্ট ভিন্ন শ্রেণির অ্যান্টিবায়োটিকের কথা ভাবতে পারেন। সেটা হতে পারে অ্যাজিথ্রোমাইসিন অথবা ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন। ম্যাক্রোলাইড
শ্রেণির এসব ওষুধ কিছুটা ভিন্নভাবে কাজ করলেও অ্যামোক্সিসিলিনের মতোই কার্যকর।
মৌসুমের আগেই শিশুদের মধ্যে অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ার মধ্যেই অ্যান্টিবায়োটিকের স্বল্পতার বিষয়টি সামনে এলো। অটোয়া, টরন্টো ও মন্ট্রিয়লের হাসপাতালগুলোর জরুরি বিভাগে বিপুল সংখ্যক রোগী আসছে। তবে অ্যামোক্সিসিলিনের সংকট যে কেবল কানাডাতেই তেমন নয়। বাড়তি চাহিদার কারণে যুক্তরাষ্ট্রেও অ্যামোক্সিসিলিনের ঘাটতি দেখা দেওয়ার কথা জানিয়েছে দেশটির ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।