
বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানের বিধান ফিরিয়ে আনার সময় হয়েছে বলে অন্টারিওর কোভিড-১৯ সায়েন্স অ্যাডভাইজরি টেবিলের সাবেক প্রধান ডা. ফাহাদ রাজাক। সেন্ট মাইকেল’স হসপিটালের ইন্টারনিস্ট ডা. ফাহাদ রাজাক বলেন, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যে চাপ দেখা গেছে তা সাধারণত ফ্লু মৌসুম যখন চূড়ায় থাকে তখন দেখা যায়। কোভিড-১৯ এর হার বেড়ে গেলে তা মোকাবিলা করার সামর্থ্য সামান্যই আছে।
অন্টারিওর জনস্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, প্রদেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সাধারণত স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। যদিও সেপ্টেম্বর থেকে এটি পর্যায়ক্রমে বাড়তে শুরু করেছে। প্রদেশে বিএ.৫ স্ট্রেনের আধিপত্য থাকলেও নতুন সাবভ্যারিয়েন্ট বিকিউ.১ ও বিকিউ.১.১ দ্বিগুন হারে বাড়ছে। সাবভ্যরিয়েন্ট দুটিকে অধিক সংক্রামক বলে মনে করা হচ্ছে।
ডা. ফাহাদ রাজাক বলেন, তিনি যদি এখনো সায়েন্স অ্যাডভাইজরি টেবিলের প্রধান থাকতেন তাহলে গণপরিবহন, মুদি দোকান ও স্কুলের মতো অত্যাবশ্যকীয় স্থানে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান ফিরিয়ে আনার সুপারিশ করতেনে। সেপ্টেম্বরে কোভিড-১৯ সায়েন্স অ্যাডভাইজরি টেবিল বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। শুধু মাস্ক পরিধান বা ভ্যাকসিন এর সঠিক সমাধান নয়। কিন্তু উভয় পদ্ধতি এক সঙ্গে গ্রহণ করলে কোভিড সংক্রমণের হার কমতে পারে এবং প্রয়োজনের সময় জনগণ স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারেন।
পাবলিক হেলথ অন্টারিও বলছে, বিকিউ সাবভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে এখন পর্যন্ত বেশি কিছু জানা না গেলেও সংক্রমণ, পুনরায় আক্রান্ত হওয়া ও ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কমে যাওয়ার উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে।
কুইন’স ইউনিভার্সিটির সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জেরাল্ড ইভান্স বলেন, বিকিউ সাবভ্যারিয়েন্ট নিয়ে অন্টারিওবাসীদের এই মুহূর্তে খুব বেশি উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়। যদিও সংক্রমণের হার কিছুটা উদ্বেগের কারণ বটে।
সর্বশেষ সপ্তাহে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার ২২র অক্টোবর শেষ হওয়া সপ্তাহের মতোই ছিল অনেকটা। আগের সপ্তাহে এ হার ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ থাকলেও সর্বশেষ সপ্তাহে সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ১ শতাংশে। যদিও জুলাইয়ে সংক্রমণ চূড়ায় পৌঁছানোর সময় হার ছিল ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর হার এই সময়ে হ্রাস পেয়েছে। তবে শিগগিরই তা বাড়তে পারে।