
লং-টার্ম কেয়ার হোমে (এলটিসি) জায়গার জন্য অপেক্ষা করছেন এমন জ্যেষ্ঠ নাগরিকরা ১৫০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা অন্য এলটিসিতে যেতে না চাইলে হাসপাতালে থাকাবাবদ দৈনিক ৪০০ ডলার গুণতে হবে তাদের। বিল ৭ নামে পরিচিত ‘মোর বেডস, বেটার কেয়ার অ্যাক্টে’ লং-টার্ম কেয়ার হোমের অপেক্ষায় থাকা জ্যেষ্ঠ নাগরিকদেরকে তাদের পছন্দ না হলেও অন্য হোমে স্থানান্তরের সুযোগ রাখা হয়েছে। আগস্টেই এর পক্ষে সম্মতি পাওয়া গেছে।
জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের নিয়ে কাজ করা ব্যক্তি ও সংস্থাগুলো এ নিয়ে এর আগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। তারা বলেছিল, জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের পরিবার থেকে অনেক দূরের কোনো লং-টার্ম কেয়ার হোমে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে। অথবা যেতে অস্বীকার করলে হাসপাতাল তাদের ওপর অত্যধিক ফি আরোপ করতে পারে।
নতুন আইনে কতদূর পর্যন্ত জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের স্থানান্তর করা যাবে সে সংক্রান্ত নীতিমালা নির্ধারণ করেছে সরকার। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া রোগীদের পছন্দমতো হোমে যদি জায়গা না থাকে তাহলে দক্ষিণ অন্টারিওর ৭০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে তাদেরকে স্থানান্তর করা যাবে। উত্তর অন্টারিও হলে ১৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে তাদেরকে স্থানান্তর করা যাবে।
এই সীমার মধ্যে কোনো লং-টার্ম কেয়ার হোম না থাকলে বা থাকলেও যদি খালি না থাকে সেক্ষেত্রে রোগীদের পছন্দের স্থানের সবচেয়ে কাছাকাছি কেয়ার হোম নির্বাচন করতে পারবেন প্লেসমেন্ট সমন্বয়কারীরা। লং-টার্ম কেয়ার বিষয়ক মন্ত্রী পল ক্যালান্ড্রা বলেন, আইনটি আমাদের সর্বোচ্চ মাত্রায় নমনীয় হওয়ার সুযোগ দিয়েছে, যাতে করে হাসপাতালে থাকা রোগীরা চাইলে তাদেরকে আমরা লং-টার্ম কেয়ার হোমে উন্নত সেবা দিতে পারি।
কোনো রোগী যদি লং-টার্ম কেয়ার হোমে যেতে অস্বীকৃতি জানায়, সেক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ওপর দৈনিক ৪০০ ডলার ফি আরোপ করতে পারবে। ২০ নভেম্বর রোগীদের ছেড়ে দেওয়ার সময় হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর থেকে এ ফি প্রযোজ্য হবে। সেই সঙ্গে ছেড়ে দেওয়া কোনো রোগী হাসপাতাল ত্যাগে অস্বীকৃতি জানালে তাদের ক্ষেত্রেও এ ফি প্রযোজ্য হবে।
এই আইনের আগে কোনো রোগী তাদের পছন্দের পাঁচটি লং-টার্ম কেয়ার হোমের মধ্যে একটিতে যেতে না চাইলে তাদের ওপর দৈনিক ৬২ দশমিক ১৮ ডলার ফি আরোপ করত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এক মাসে যার পরিমাণ দাঁড়াত ১ হাজার ৯০০ ডলারের কাছাকাছি।