শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
2.2 C
Toronto

Latest Posts

ইন্ডিয়ান হসপিটালের নথি দেখতে চান পরিবার ও সাবেক রোগীরা

- Advertisement -
ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার ককুয়ালিটজা ইন্ডিয়ান হসপিটাল

মায়ের চিকিৎসা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর এখনও খুঁজছেন জর্জিনা মার্টিন। ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার ককুয়ালিটজা ইন্ডিয়ান হসপিটালে তার মা যক্ষা নিয়ে চিকিৎসাধীন থাকার পর মার্টিনের জন্ম হয়। মা হাসাপাতালে থাকায় প্রদেশের উইলিয়ামস লেক ফার্স্ট নেশন বা টি’এক্সেলকে গ্যান্ডপ্যারেন্টদের কাছে বড় হন তিনি।

একজন ভুক্তভোগী বলেন, নথি চেয়ে একাধিকবার অনুরোধ জানানোর পরও আমার অতীত সম্পর্কে এখনও পরিস্কার চিত্র আমি হাতে পাইনি। ইন্ডিয়ান হসপিটালে জন্মগ্রহণ আমার জীবনের প্রথম ট্রমা। পরবর্তীতে মায়ের সান্নিধ্য ছাড়াই বড় হওয়া এই ট্রমাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। আমার কমিউনিটি সেকুয়েপেমসির মানুষের ওপর এইসব হাসপাতালের প্রভাব নিয়ে লেখাজোখা খুবই সীমিত। একটা ব্যাপারে আমরা সজাগ এবং তা হলো আমি সেখানে জন্মেছি। আমার জন্ম-সংক্রান্ত নথি পাওয়ার চেষ্টা আমি করেছি। কিন্তু কোথায় সেটা পাবো অথবা আদৌ আছে কিনা সে উত্তর এখন পর্যন্ত পাইনি।

- Advertisement -

১৯৩০ এর দশক থেকে ফেডারেল সরকার কানাডাজুড়ে ইন্ডিয়ান হসপিটাল প্রতিষ্ঠা করে। দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধের পর এটা আরও সম্প্রসারণ করা হয়। প্রাথমিকভাবে যক্ষায় আক্রান্ত আদিবাসীদের চিকিৎসা দেওয়াই ছিল এর লক্ষ্য। পরবর্তীতে মাতৃত্ব, পোড়া ও হাড়ভাঙ্গাসহ সব ধরনের চিকিৎসাই এখানে শুরু হয়। ১৯৮১ সালের মধ্যে সেগুলো হয় বন্ধ করে দেওয়া হয়, না হয় মূলধারার হাসপাতাল ব্যবস্থার সঙ্গে আত্মকরণ করে নেওয়া হয়। জোরপূর্বক শিশুদের সেখানকার চার দেওয়ালের মধ্যে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠার পর এ উদ্যোগ নেওয়া হয়।

হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসাধীন রোগীদের কোথায় কবর দেওয়া হয়েছে, তা চিহ্নিত করা হয়নি। কারণ, সরকরা প্রায় সময়ই তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে পাঠানোর খরচ বহন করতে চাইত না। আদিবাসী কমিউনিটি এখন এসসব প্রশ্নের উত্তর চাইছে।

ডিপার্টমেন্ট ক্রাউন-ইন্ডিজিনাস রিলেশন্স সাবেক ইন্ডিয়ান হসপিটাল-সংক্রান্ত নথি উন্মুক্ত করে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। ২০১৮ সালে দায়ের করা ১১০ কোটি ডলারের ক্লাস অ্যাকশন মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে তারা। ফেডারেল আদালতের একজন বিচারক ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ক্লাস অ্যাকশন মামলা সার্টিফাই করেছেন।

নভেম্বরে ইউনিভার্সিটি অব অটোয়ার আচার্য হতে যাচ্ছেন পশ্চিম কুইবেকের কিতিগান জিবি আনিশিনাবেগের জ্যেষ্ঠ নাগরিক ক্লাউডেটা কমান্ডা। তিনি বলেন, আমার পরিবারের বেশ কয়েকজনকে ইন্ডিয়ান হসপিটালে নেওয়া হয়েছিল। আমার বাবাকেও এইসব হসপিটালের কোনো একটিতে নেওয়া হয়েছিল। আমার বয়স তখন ১৩ এবং বাবাকে সেখানে এক থেকে দুই বছর রাখা হয়েছিল। আমার স্বামী এবং তাঁর মাকেও ইন্ডিয়ান হসপিটালে রাখা হয়েছিল।

- Advertisement -

Latest Posts

Don't Miss

Stay in touch

To be updated with all the latest news, offers and special announcements.