উপ-প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডকে মৌখিকভাবে হেনস্থার নিন্দা জানিয়েছেন কানাডার সাবেক ও বর্তমান রাজনীতিকরা। আলবার্টায় গত সপ্তাহের শুক্রবার এক ব্যক্তি ফ্রিল্যান্ডের দিকে এগিয়ে যান এবং মৌখিকভাবে হেনস্থা করেন।
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জনস্বাস্থ্য বিধিনিষেধের বিরোধীতাকারী একটি টুইটার অ্যাকাউন্টে ১৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। সেখানে ফ্রিল্যান্ডকে একটি এলিভেটরে প্রবেশ করতে দেখা যায়। ঠিক সেই সময়ই বৃহদাকৃতির এক ব্যক্তি ফ্রিল্যান্ডের দিকে এগিয়ে যান এবং ফ্রিল্যান্ডকে উদ্দেশ্য করে কটু কথা বলেন এবং তাকে বিশ^াসঘাতক বলে চিৎকার করতে থাকেন। ভিডিওতে দেখা যায়, ওই ব্যক্তি এলিভেটরে ঢুকতে গেলে একজন নারী তাকে বাধা দেন। এ সময় ওই ব্যক্তি ফ্রিল্যান্ডকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আলবার্টা থেকে বেরিয়ে যান। আরেকটি বড় ক্লিপে দেখা যায়, ওই ব্যক্তিকে ভবন ত্যাগ করতে বললে তিনি পার্কিং লটের বাইরে দিয়ে হেটে যান। সেখানে তিনি বলেন, এটাই ছিল মোক্ষম সময়।
অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ফ্রিল্যান্ড আলবার্টার গ্র্যান্ডে প্রেইরির মেয়র জ্যাকি ক্লেটনের সঙ্গে বৈঠকের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন।
প্রথম ভিডিওটিতে ওই ব্যক্তিকে ফ্রিল্যান্ডের প্রথম নাম ধরে সম্বোধন করতে দেখা যায় এবং উপপ্রধানমন্ত্রী তার দিকে ঘুরে তাকান। এরপর ওই ব্যক্তি চিৎকার শুরু করেন। পরদিন এ ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন ফ্রিল্যান্ড। সেখানে তিনি লেখেন, যা ঘটেছে তা ভুল এবং কোথাও কারো এটাকে হুমকি বা ভীতি প্রদর্শন হিসেবে দেখা উচিত নয়।
তিনি লেখেন, আলবার্টা থেকে আসায় তিনি গর্বিত এবং এডমন্টন, গ্রান্ডে প্রেইরি ও আলবার্টার পিচ রিভার পরিদর্শনে তাঁকে যে উষ্ণ সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে, তার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ। অপ্রীতিকর একটি ঘটনা এতে কোনো পরিবর্তন আনতে পারে না।
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে কনজার্ভেটিভ পার্টির সাবেক উপ-প্রধান লিসা রেইট টুইটারে লিখেছেন, এক ব্যক্তি ফ্রিল্যান্ডের পিছু নিচ্ছে এটা উদ্বেগের। লিসার টুইটের প্রতিক্রিয়ায় একই ধরনের মন্তব্য করেছেন সাবেক লিবারেল পরিবেশমন্ত্রী ক্যাথেরিন ম্যাককেনা। এ ঘটনার নিন্দা জানাতে সব দলের অংশগ্রহণে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আহ্বান জানিয়েছেন ম্যাককেনি। তাঁর সময়ে বাড়তি নিরাপত্তা পাওয়া ম্যাককেনি এ ঘটনাকে ফ্রিল্যান্ডের ওপর আক্রমণ হিসেবে উল্লেখ করে নির্বাচিত কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।
মন্ত্রীরা সাধারণত রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের (আরসিএমপি) কাছ থেকে নিরাপত্তা পান না। তবে পরিস্থিতি দাবি করলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে থাকে তারা।