কানাডার তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দলই তাদের নির্বাচনী ইঞ্জিন চালু করে দিয়েছে। যদিও ক্ষতি হতে পারে প্রচারণায় এমন কিছু না করার ওপর জোর দিচ্ছে তারা।
চলতি বছর নির্বাচনের সম্ভাবনায় লিবারেল, কনজার্ভেটিভ ও নিউ ডেমোক্র্যাটিক তিনটি দলই প্রার্থী সংগ্রহ, স্বেচ্ছাসেবীদের প্রশিক্ষণ এগিয়ে নিচ্ছে। মহামারির কারণে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ভার্চুয়ালি কীভাবে শিশুদের চুমু দেওয়া যায় অথবা অন্যদের সঙ্গে করমর্দন করা যায় সে চিন্তাও করছে তারা।
কনজার্ভেটিভ পার্টি চলতি বছরের প্রথম তিনি মাসে ৮৫ লাখ ডলার তহবিল সংগ্রহের তথ্য জানিয়েছে। তহবিলের এ আকার গত প্রান্তিকে অন্যান্য দলের সংগৃহীত তহবিলের দ্বিগুণেরও বেশি। এছাড়া এখন পর্যন্ত ১৯৭ জন প্রার্থীও সংগ্রহ করেছে দলটি। বর্তমান জনপ্রতিনিধিরাও রয়েছেন এর মধ্যে। পাশাপাশি অটোয়ার ডাউনটাউনে ওয়েস্টিন হোটেলের একটি বলরুমে স্টেট অব দ্য আর্ট স্টুডিও স্থাপন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন দলের যোগাযোগ পরিচালক কোরি হান। স্টুডিওটিতে আছে লাইট, একাধিক ক্যামেরা ও বিশাল আকারের ব্যাকগ্রাউন্ড স্ক্রিন।
অন্যান্য দলের মতো এনডিপিও অনলাইন প্রচারণা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপনের ওপর জোর দিচ্ছে। গত বছর জো বাইডেনের নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তাকারী ভোট কূশলীদের সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এরই মধ্যে বৈঠক করেছেন। দলের নেতা জাগমিত সিংয়ের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর দক্ষতাকেও নির্বাচনী প্রচারণায় কাজে লাগাতে চায়।
এনডিপির জাতীয় পরিচালক অ্যানি ম্যাকগ্রাথ বলেন, দেশের কিছু এলাকায় হয়তো বাড়ি বাড়ি প্রচারণা চালানো সম্ভব হবে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্ষেত্রে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এনডিপি এখন পর্যন্ত ৬৫ জন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে। জুনের শেষ নাগাদ আরও ৩৩ জনকে মনোনয়ন দেওয়ার কথা রয়েছে। ২ কোটি ৪০ লাখ ডলারের নির্বাচনী বাজেটের মধ্যে ২ কোটি ২০ লাখ ঋণ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন দলীয় কর্মকর্তারা।
গ্রিন পার্টি পাঁচজন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। দলের তিন এমপি ও দলীয় নেতা আন্নামি পলও আছেন তাদের মধ্যে। দলের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত তারা মনোনয়নের জন্য ২০০ আবেদন পেয়েছে। তাদের মধ্যে কমবেশি ২০ জনকে মনোনয়ন দেয়া হতে পারে।
লিবারেল পার্টি মনোনয়ন দিয়েছে ১৫২ জনকে। এর মধ্যে ১২৯ জনই বর্তমানে জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করছেন। তবে বর্তমান জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে চারজন পুনরায় নির্বাচনে না লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। দলের হেভিওয়েট নেতা ও সাবেক মন্ত্রী নবদ্বীপ বেইন্সও রয়েছেন তাদের মধ্যে।