ছেলে ও কুকুরগুলোকে দেখতে বৃহস্পতিবার বিকালে প্রাক্তন স্বামীর বাড়িতে গিয়েছিলেন ব্যারি সিটি কাউন্সিলর নাতালি হ্যারিস। সেই সময়ই টর্নেডোর আঘাত।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে হ্যারিস বলছিলেন, তার প্রাক্তন স্বামী তাদেরকে বেজমেন্টে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ছেলেকে ধরে রেখে সিপি২৪কে তিনি বলেন, আমি দেখলাম বাইরে কিছু একটা হচ্ছে এবং বেজমেন্টের ধুলা ঢুকছে। এটা ঘটে গেল খুব দ্রুতই। এরপর আমি উপরে গেলাম এবং আপনারা যা দেখছেন তার ভিডিও ধারণ করলাম।
দুই তলা বাড়িটির পুরো ছাদই গেছে এবং এখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ধ্বংসাবশেষ। প্রতিবেশীদের কি হয়েছে তা দেখতে বাইরে এসে হ্যারিস বলেন, সেখানেও ধ্বংসের তা-ব।
বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার পর প্রিন্স উইলিয়াম ওয়ে এবং ম্যাপলভিউ ড্রাইভে টর্নেডোর আঘাতে ব্যারির আরও অনেক বাড়িই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেরি পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেন, ঝড়ের কারণে যে ক্ষয়ক্ষতি তা ভয়াবহ, যেমনটা সম্ভবত যুদ্ধাঞ্চলেও দেখা যায়।
সিমকো কান্ট্রি প্যারামেডিকস বলেছে, টর্নেডোতে আটজন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে চারজনের আঘাত গুরুতর।
তার প্রাক্তন স্বামী দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন হ্যারিস। হ্যারিসের প্রাক্তন স্বামীও একজন প্যারামেডিকস। হ্যারিস বলছিলেন, আমার ছেলের ঘরটি উপরের তলায় সামনের দিকে এবং পুরো ছাদটাই গেছে। সে সেখানে কম্পিউটারে কিছু একটা করছিল। কিন্তু সঠিক সময়ে বেজমেন্টে চলে আসায় আমরা রক্ষা পেয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা ব্যারিতে বসবাস করছি। টর্নেডোর সতর্কতাও নিয়মিতই পেয়ে থাকি। সত্যি কথা বলতে, সতর্কতা শুনে কখনও কখনও আপনারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান, কখনও আবার যান না। আজ যদি বের না হতাম তাহলে কি যে ঘটে যেতো আমার জানা নেই।