ন্যাশনাল ডেকেয়ার ব্যবস্থা সত্ত্বেও কানাডায় চিলড্রেন বেনিফিটের প্রয়োজনীয়তা এখনও শেষ হয়ে যায়নি বলে মনে করেন পরিবার বিষয়ক মন্ত্রী কারিনা গোল্ড। তিনি বলেন, চাইল্ড বেনিফিট কখনই চাইল্ড কেয়ার কর্মসূচি নয়। এর উদ্দেশ্য সন্তান লালন পালনে পরিবারগুলোকে খরচ দিয়ে সহায়তা করা এবং দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনা।
২০১৬ সালে আয়-পরীক্ষিত সুবিধা চালু করার পর ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ২০১৯ সালে ৯ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে আসে। ২০১৫ সালে যেখানে এ হার ছিল ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ।
গোল্ড বলেন, জাতীয় ডেকেয়ার ব্যবস্থার লক্ষ্যও চাইল্ড-কেয়ার ফি কমিয়ে আনার মাধ্যমে বাবা-মার ওপর খরচের চাপ হ্রাস করা। কিছু প্রদেশে এ ফি মাসিক আবাসন ঋণের কিস্তি পরিশোধের চেয়েও বেশি।
তবে সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী গড়ে ফি ২০২৬ সালের মধ্যে দৈনিক ১০ ডলারে নেমে এলেও বিল পরিশোধের জন্য কানাডার অনেক পরিবারের কানাডা চাইল্ড বেনিফিটের প্রয়োজন হবে বলে জানান গোল্ড। এ কারণেই বেনিফিটটি বাতিল হচ্ছে না বলে মনে করেন তিনি।
গোল্ড বলেন, এমন কিছু পরিবার বিশেষ করে সিঙ্গে প্যারেন্ট অথবা একক আয়নির্ভর পরিবার অথবা কাজ করতে অসমর্থ পরিবার সব সময়ই থাকবে, যাদের অব্যাহতভাবে এই চাইল্ড কেয়ার বেনিফিটের প্রয়োজন হবে। আমার মনে হয় কানাডায় শিশু দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে এটা অব্যাহত রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ পন্থা।
ডিসেম্বরে দেওয়া সরকারের আর্থিক হালনাগাদের পুর্বাভাস অনুযায়ী, এপ্রিলে শুরু হওয়া অর্থবছরে দ্বিতীয়বারের চাইল্ড বেনিফিটে ব্যয় কমবে। এ ব্যয় ২ হাজার ৬৪০ কোটি ডলার থেকে কমে ২ হাজার ৫৫০ কোটিতে নেমে আসতে পারে। তবে ২০২৭ সালে এ ব্যয় ২ হাজার ৮২০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে।
চাইল্ড বেনিফিটের ব্যয় কমার অন্যতম কারণ হচ্ছে শিশু রয়েছে এমন পরিবারগুলোকে সাময়িকভাবে বোনাস প্রদান। গোল্ড বলেন, কিছু পরিবার চাইল্ড কেয়ার বেনিফিটের আওতায় অর্থ কম পেয়েছেন। এর কারণ তাদের ২০২০ সালে তাদের আয়-সহায়ক জরুরি তহবিল গ্রহণ। তবে এটা স্বল্প আয়ের যেসব জ্যেষ্ঠ নাগরিক নিশ্চিত সম্পূরক আয় বাবদ অর্থ পেয়ে থাকেন তাদের মতো অতোটা কমেনি।
চাইল্ড কেয়ার বেনিফিটের ব্যয় বাড়তে থাকার সাপেক্ষে সরকার প্রাদেশিকভাবে পরিচালিত চাইল্ড-কেয়ার ব্যবস্থায় বার্ষিক তহবিলের আকার বাড়িয়ে দেবে। লিবারেল সরকার নুনাভাট ও অন্টারিও বাদে ১১টি প্রদেশের সঙ্গে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। খবর: দ্য কানাডিয়ান প্রেস।