
টিটিসি বোর্ড নতুন বাজেটের পক্ষে ভোট দিয়েছে। তাতে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে রাজস্বে সংশয় থাকা সত্ত্বেও সেবা মহামারি-পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
২২৪ কোটি ডলারের পরিচালন বাজেটে ২০২২ সালের দ্বিতীয়ার্ধেই সেবা শতভাগ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বছরের বাকি সময়ে তা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যও ধরা হয়েছে বাজেটে।
বাজেট কর্মকর্তাদের তৈরি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যমান নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই এ উদ্যোগ। বিদ্যমান নীতিতে যাত্রী সংখ্যা মহামারি-পূর্ববর্তী সময়ের ৫০ শতাংশে পৌঁছলেই সব সেবা পুনপ্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে।
এই মুহূর্তে টিটিসির যাত্রী মহামারি-পূর্ববর্তী সময়ের ৪৯ শতাংশে রয়েছে। যদিও নতুন ভ্যারিয়েন্ট যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধির ওপর কি ধরনের প্রভাব ফেলবে তা পরিস্কার নয়। টিটিসির বাজেট তৈরি করা হয়েছে বছরজুড়ে পযৃায়ক্রমে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধির ওপর ভিত্তি করে এবং চূড়ান্তভাবে ২০২২ সালের শেষ দিকে তা ৮১ শতাংশে পৌঁছাবে।
টিটিসি কর্মকর্তারা বলছেন, বেশিরভাগ কর্মীই এখনও সপ্তাহে তিন দিন বাড়িতে বসে কাজ করছেন। আরও বেশি কর্মী কর্মক্ষেত্রে ফিরবেন বলে আমরা ধরে নিয়েছি। তবে আরও কিছু বিষয়ও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে, যাতে অনিশ্চয়তা রয়েছে। কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ব্যাপক হারে না বাড়া এবং পোস্ট সেকেন্ডারি স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফেরার বিষয়টি এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিটিসির চেয়ার জে রবিন্সন বলেছেন, বাজেটে টিটিসিকে চাহিদার ভিত্তিতে সেবা মহামারি-পূর্ববর্তী অবস্থায় ফেরার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে যাত্রীদের ভাড়া না বাড়িয়ে সেবা বাড়ানোর সুযোগও দেওয়া হয়েছে।
বাজেট নিয়ে কাজ করার জন্য কর্মকর্তাদের প্রশংসা করেছেন টরন্টো মেয়র জন টরি। এটাকে সঠিক ও দায়িত্বশীল বাজেট বলেও আখ্যায়িত করেছেন তিনি। জন টরি বলেন, মহামারির মধ্যে ট্রানজিট সেবা সুরক্ষায় আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। মহামারি থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে শুরু করায় এই বাজেট সে পরিশ্রম অব্যাহত রাখতে সহায়তা করবে।
তৃতীয় ঢেউয়ের সময় টিটিসির যাত্রী মহামারি-পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় ২৬ শতাংশে নেমে আসে। কিন্তু জুলাইয়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম খুলে যেতে শুরু হওয়ায় তা বাড়তে থাকে।
টিটিসির ২০২২ সালের বাজেট বাস্তবায়নে এখনও সিটি কাউন্সিলের অনুমোদন বাকি। বাজেটের প্রাক্কলন অনুযায়ী, ২০২২ সালে ভাড়া বাবদ ট্রানজিট কমিশন ৩৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার সংগ্রহ করবে। যদিও চলমান যাত্রী সংকটের কারণে এখনও ৪০ কোটি ৯০ লাখ ডলার ঘাটতিতে রয়েছে কমিশন।
এছাড়া কোভিড-১৯ মহামারি সংক্রান্ত ব্যয় বাবদ অতিরিক্ত ৫ কোটি ১৪ ডলার প্রয়োজন হবে বলে বাজেটে প্রাক্কলন করা হয়েছে। যদিও এর আগে টিটিসির মহামারি সংশ্লিষ্ট লোকসান পুষিয়ে নিতে অন্যান্য সরকার এখন পর্যন্ত ১৩০ কোটি ডলার সরবরাহ করেছে।