গ্রিন পার্টির নেতা অনামী পলের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল হয়ে গেছে। পরবর্তী সম্মেলনের আগে এ ধরনের আর কোনো প্রস্তাব দলের প্রধান গভর্নিং বডি ফেডারেল কাউন্সিল আনবে না বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি। গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অনামী পল। মঙ্গলবার অনাস্থা প্রস্তাবটি আনার কথা ছিল।
টরন্টো সেন্টারে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, অভিজ্ঞতাটি আমার ও আমার পরিবারের জন্য খুবই বেদনাদায়ক এবং আমি এ ব্যাপারে সৎ থাকতে চাই। আপনার সততা প্রশ্নের মুখে পড়াটা সত্যিই কঠিন, বিশেষ করে আপনি যখন এটার অনেক বেশি মূল্য দেন।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তার নেতৃত্ব নিয়ে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের এক তরফা প্রচারণার ফলে পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন বলেও স্বীকার করেন অনামী পল। কিন্তু তিনি এটাও অনুভব করেছিলেন যে, তিনি গ্রিন পার্টির তাদের কাছে ঋণী যারা তাকে নির্বাচিত করেছেন।
অনামী পল বলেন, তাছাড়া বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ডের ও প্রতিনিধিত্বশীল নয় এমন বিভিন্ন গ্রুপের তরুণ, বৃদ্ধ কাউকেই আমি ছেড়ে যেতে চাইনি। গত ৮-৯ মাস ধরে তারা এই প্রশ্নটি করেছেন যে, আমার মতো কারো কি রাজনীতিতে স্থান আছে?
গ্রিন পার্টির অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাহী পরিচালক ডানা টেইলর গত সপ্তাহে অনামী পলের সদস্য পদ নিয়ে যে পর্যালোচনা শুরু করেছিলেন তাও স্থগিত রাখা হয়েছে। ওই পর্যালোচনায় অনামী পলের দলীয় সদস্য পদ স্থগিত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
এর ফলে আগামী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তাকে দল থেকে বহিস্কারের আর কোনো সুযোগ নেই। পলের প্রকাশ্য বিরোধিতাকারীরা পিছু হটলেও গ্রিন পার্টির মধ্যে উত্তেজনা জিইয়েই থাকছে। কারণ, কয়েক মাস ধরে চলা অভ্যন্তরীণ বিবাদের কারণে দলীয় এজেন্ডা নির্ধারণে হিমশিম খেতে হচ্ছে গ্রিন পার্টিকে।
ম্যাকগিল ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব কানাডার পরিচালক ড্যানিয়েল বেলান্ড বলেন, গ্রিন পার্টির একটি আহত দল। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে, অনামী পল ও নির্বাহী সদস্যদের কারও কারও মধ্যে এখন খারাপ রক্ত বিদ্যমান রয়েছে।
এদিকে অ্যাঙ্গাস রিড গত শুক্রবার এক সমীক্ষায় জানিয়েছে, আগামী নির্বাচনে মাত্র ৩ শতাংশ ভোটার গ্রিন পার্টির পক্ষে ভোট দিতে চান, ২০১৯ সালে প্রাপ্ত ভোটের তুলনায় যা অনেক কম। ২০১৯ সালের নির্বাচনে ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিল দলটি।
সাবেক অর্থমন্ত্রী বিল মরনোর ছেড়ে যাওয়া আসনে গত ফলে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে দ্বিতীয় হয়েছিলেন অনামী পল। আসনটিতে ৪২ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন লিবারেল পার্টির মার্সি লেন। পক্সান্তরে অনামী পল পেয়েছিলেন ৩৩ শতাংশ ভোট।