নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মীদের যাতে বাড়িতে বসে কাজ করার সুযোগ দেয় সে আহ্বান জানিয়েছেন অন্টারিও জনস্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. কিয়েরান মুর। প্রদেশে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এ আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান ডা. কিয়েরান মুর। একই সংবাদ সম্মেলনে প্রদেশের ভ্যাকসিন সনদ ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তনেরও ঘোষণা দেন তিনি। ডা. কিয়েরান মুর বলেন, জনগণকে জনস্বাস্থ্য মেনে চলা ও ভ্যাকসিন গ্রহণের আহ্বান যেমন জানাচ্ছি, একই সঙ্গে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিও আহ্বান জানাচ্ছি তারা যেন সতর্ক থাকে। সম্ভব হলে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মীদের যেন বাড়িতে বসে কাজের সুযোগ দেয় তাদের প্রতি সে আহ্বানও জানাচ্ছি আমরা। কারণ, লোকজন বাড়িতে থেকে কাজ করলে তা প্রদেশে জন চলাচল হ্রাসে সহায়ক হবে, শেষ পর্যন্ত যা সংক্রমণ কমাতে ভূমিকা রাখবে।
নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে এক ঘোষণায় টরন্টো সিটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, জানুয়ারিতে এর সব অফিস ভবন সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতায় খুলে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে কর্মীদের সশরীরে অফিসে আসারও আহ্বান জানানো হয়েছিল। পূর্ণকালীন সময়ের জন্য না হলেও অন্তত খ-কালীন সময়ের জন্য।
টরন্টো মেয়র জন টরি সে সময় বলেছিলেন, আমি আশা করি এ পদক্ষেপ অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও তাদের কর্মক্ষেত্র উন্মুক্ত করে দিতে উদ্বুদ্ধ করবে।
প্রদেশের নতুন এ ঘোষণা পর্যালোচনা করে দেখা হবে বলে সিটিভি নিউজ টরন্টোকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে টরন্টো সিটি কর্তৃপক্ষ। নগর কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র ব্র্যাড রস বিবৃতিতে বলেন, এখন থেকে তিন সপ্তাহ পর ৪ জানুয়ারি আমাদের কর্মীদের অফিসে ফেরানোর কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে ৩০ নভেম্বরের ঘোষণায় সিটি কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বলা হয়েছিল এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বিজ্ঞান ও জনস্বাস্থ্য নির্দেশিকার ভিত্তিতে দৈনিক পর্যালোচনার আলোকে।
ডা. কিয়েরান মুর বলেন, অন্টারিওতে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কোভিড-১৯ রোগীর ব্যাপক বাড়তে শুরু করেছে। অন্টারিওতে মোট কোভিড রোগীর ১০ শতাংশ এখন এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। অন্টাওির জনস্বাস্থ্য বিভাগের পূর্বাভাস অনুযায়ী এ প্রবণতা আগামীতে আরও বাড়বে এবং জানুয়ারির শুরুর দিকে ওমিক্রন অন্টারিওতে আধিপত্যকারী ভ্যারিয়েন্ট হয়ে উঠবে।