
কোভিড-১৯ এর ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সনাক্ত হওয়ার পর কানাডা আরও খারাপ পরিস্থিতির মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে মনে করেন সিংহভাগ কানাডিয়ান। নতুন এক সমীক্ষায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। লেজার ও দ্য অ্যাসোসিয়েশন ফর কানাডিয়ান স্টাডিজ পরিচালিত সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রতি পাঁচজনের মধ্যে চারজনই বিশেষ কোনো দেশ থেকে আগত ভ্রমণকারীদের জন্য সীমান্ত বন্ধ রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন।
ওমিক্রনের সংক্রমণ রোধে কানাডা দ্রুততম সময়ে বেশ কিছু ভ্রমণ বিধিনিষেধ চালু করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে যারা আফ্রিকার ১০টি দেশ ভ্রমণ করেছেন তাদের জন্য কানাডায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এর মধ্যে অন্যতম।
দৈবচয়নের ভিত্তিতে মোট ১ হাজার ৫৪৭ জন কানাডিয়ানের ওপর ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বর সমীক্ষাটি চালানো হয়েছে। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৪৪ শতাংশ কানাডিয়ান বলেছেন, ওমিক্রনের কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাবে। তবে ৪৩ শতাংশের মতে, ওমিক্রনের প্রভাব আগের মতোই থাকবে। সামাজিক দূরত্ব, কানাডার কিছু পাবলিক প্লেস ও কার্যক্রমের ওপর লকডাউন আরোপের পক্ষে মত দিয়েছেন সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৬৮ শতাংশ কানাডিয়ান।
লেজারের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট বোর্ক বলেন, বিধিনিষেধ আরোপের পক্ষে মতামত পোষণকারীর সংখ্যা আগের সমীক্ষার তুলনায় কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। আগের সমীক্ষায় ৮০ শতাংশ কানাডিয়ান বিধিনিষেধের পক্ষে তাদের মতামত তুলে ধরেছিলেন। আমার মনে হয় না কানাডিয়ানরা আবার সে জায়গায় ফেরত যাবেন।
একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কানাডার সঙ্গে মার্কিন সীমান্ত বন্ধ রাখার পক্ষেও মত দিয়েছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কানাডিয়ান। বোর্ক বলেন, এটা দেখে আমরা আশ্চর্য হয়েছি যে, প্রতি তিনজন কানাডিয়ানের মধ্যে দুইজনই কয়েক মাসের জন্য কানাডার সঙ্গে মার্কিন সীমান্ত বন্ধ রাখার পক্ষে তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। যদিও বিপুল সংখ্যক কানাডিয়ান সীমান্ত উন্মুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
এছাড়া নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে অনুমোদিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনগুলোর তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ প্রদানের পক্ষে মত দিয়েছেন সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৭৮ শতাংশ কানাডিয়ান।
কোভিড-১৯ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশে মহামারি পরিস্থিতি নিয়ে কানাডিয়ানদের কাছে জানতে চাইছে। সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, খারাপ পরিস্থিতি যে আমরা অতিক্রম করে আসেনি এমন মতামত দেওয়া কানাডিয়ানদের সংখ্যা লক্ষ্যণীয় হারে কমে গেছে।