
কানাডার সর্বাধিক পঠিত বাংলা সংবাদপত্র সাপ্তাহিক বাংলামেইল এর ১০ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে অন্টারিও প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন। শুভেচ্ছাবার্তায় ডগ ফোর্ড বলেন, সাপ্তাহিক বাংলামেইল এর দশম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে সম্পাদক, লেখক ও পাঠকদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।
ডগ ফোর্ড বলেন, একটি বিষয় খুবই আনন্দের সঙ্গে বলতে চাই যে, অন্টারিওকে গ্রেট করার ক্ষেত্রে একটা বাংলাদেশি অরিজিনদের মেধা বিশাল ভূমিকা রেখেছে। অন্টারিও গর্বিত যে, প্রচুর বাংলাদেশি অন্টারিয়ান তাদেও মেধা, দক্ষতা এবং সম্পদ বিনিয়োগ করেছে এই প্রভিন্সকে কালচারাল ও ফাইন্যান্সিয়াল আরো মজবুত করা লক্ষ্যে।
ডগ ফোর্ড বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই শহিদুল ইসলাম মিন্টু ও বাংলামেইল টীমকে, যারা সাংঘাতিক ডেডিকেশন নিয়ে নিয়মিতভাবে পাঠকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো তুলে ধরছে। আমরা ভালোভাবেই জানি যে, সাম্প্রতিক মহামারির সময়ে মাল্টিকালচারাল মিডিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে তথ্যপ্রচার করে সহায়তা করছে।
অন্টারিও প্রিমিয়ার আরো বলেন, দীর্ঘসময়ে অসামান্য কমিউনিটি সাংবাদিকতার জন্যে আমি বাংলামেইলকে আবারও অভিনন্দন জানাতে চাই। বাংলামেইলের অগ্রযাত্রায় আমার শুভকামনা সবসময়।
অন্টারিও প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ডের এই শুভেচ্ছাবার্তায় আপ্লুত বাংলামেইল পরিবার। ডগ ফোর্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বাংলামেইল সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিন্টু ও প্রতিষ্ঠাতা প্রকাশক রেজাউল কবির।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১ নভেম্বর যাত্রা শুরু করে সাপ্তাহিক বাংলামেইল। নতুনত্ব, চমৎকার গেটআপ, পেশাদার সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা বাংলামেইল টীম খুব অল্পসময়েই কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের মন জয় করে নেয়। স্থানীয় ব্যবসায়ি, সাংস্কৃতিক কর্মী, সমাজসেবি, এমনকি মূলধারার রাজনীতিকদের আস্থা অর্জন করে বাংলামেইল। কানাডিয়ান কন্টেন্ট নির্ভর পত্রিকাটি কমিউনিটি জার্নালিজমে বিশেষ অবদানের জন্যে টানা দু’বার ন্যাশনাল এথনিক প্রেস এন্ড মিডিয়া কাউন্সিল অব কানাডার এ্যাওয়ার্ড লাভ করে। পাশাপাশি হেরিট্যাজ বিয়ন্ড বর্ডারস এর বেস্ট কমিউনিটি নিউজপেপারের এ্যাওয়ার্ডটিও পায় বাংলামেইল।
সাপ্তাহিক বাংলামেইল এর প্রতিটি বর্ষপূর্তিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী, রাজনৈতিক দলের প্রধান নেতা, অন্টারিও প্রিমিয়ার, টরন্টো সিটি মেয়রসহ মূলধারার বিশিষ্টজনেরা শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন। বাংলামেইলের প্রতিষ্ঠাতা প্রকাশক রেজাউল কবির বলেন, আমাদের দশবছরের এই যাত্রাটি সহজ ছিলো না। বাংলামেইল এর বিরামহীন সাফল্যের পেছনে রয়েছে বিজ্ঞাপনদাতা ও পাঠকদের অকৃত্রিম ভালোবাসা।
বাংলামেইল সম্পাদক ও প্রকাশক শহিদুল ইসলাম মিন্টু বলেন, সময়ের সঙ্গে বদলেছে আমাদের সবার প্রিয় পত্রিকা বাংলামেইল। আমরা নিজস্ব লেখকগোষ্ঠী তৈরি করেছি। ঢাকার পত্রিকার কপি পেস্ট নয়, কানাডিয়ান কনটেন্ট এবং স্থানীয় লেখকদের নিয়েই আমাদের বর্তমান পথচলা। সাফল্যের এই দশ বছরে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা।