
টরন্টোর নর্থ ইয়র্কে ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট ইনস্টিটিউটের বাইরে মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছে গ্রেড ১১ এর শিক্ষার্থী মাহির দোসানি। ১৫ বছর বয়সী দোসানির মা বলেন, তার ছেলের গুরুতর জখম ও হাসপাতালে নেওয়ার খবরটি তাকে কেউ জানায়নি।
ছুরিকাহত দোসানিকে অচেতন অবস্থায় স্কুল প্রাঙ্গল থেকে পুলিশ উদ্ধার করে এবং দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে দোসানির মা সে সময় এ ব্যাপারে কিছু জানতেন না। সিটিভি নিউজ টরন্টোকে তিনি বলেন, ক্লাস শেষে তার ছেলে ফোন না ধরায় তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।
মা মুস্কান দোসানি বলেন, আমি তাকে ফোন করার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু সে ফোন ধরছিল না। এমনটা আগে কখননই ঘটেনি। সে সব সময়ই ফোন ধরতো। এরপর তার এক বন্ধুর কাছে মেসেজ পাঠালে সে জানায়, মাহির হাসপাতালে।
তবে ঠিক কোন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে মুস্কান তা জানতেন না এবং তিনি বিভিন্ন হাসপাতালে ফোন করে খবর নিতে থাকেন। ঠিক সেই সময় কেউ একজন তাকে সানিব্রুক হাসপাতালে খোঁজ নিতে বলেন। বিকাল সাড়ে ৬টার দিকে তিনি হাসপাতালে পৌঁছালে গুরুতর কিছু ছাড়াই মাহিরের হাসপাতালে ভর্তির কথা জানানো হয়। তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকেও আমাদের কোনো ফোন করা হয়নি। কেউই আমাদের খবরটি জানায়নি।
এর আধ ঘণ্টা পর পুলিশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাহিরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে। মুস্কান বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে এমনটা ঘটতে পারে এটা আমরা বিশ^াস করতে পারছি না। কারণ, সে ছিল খুবই লক্ষ্মী বালক।
মায়ের ভাষ্য অনুযায়ী, গ্রেড ১১ এর শিক্ষার্থী মাহির ছিল খুবই ভালো ছেলে। ডেন্টিস্ট হওয়ার ইচ্ছা ছিল তার।
টরন্টো ডিস্ট্রিক্ট স্কুল বোর্ডের (টিডিএসবি) পরিচালক কলিন রাসেল-রলিন্স বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, মাহির সবার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও মনোযোগী শিক্ষার্থী ছিল। সে নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকতো এবং ক্লাসে পুরোপুরি সময় দিত।
মাহিরের সঙ্গে ওইদিন আরও দুই শিক্ষার্থীও ছুরিকাহত হয়। তাদের একজনের বয়স ১৬ ও আরেকজনের ১৪ বছর। তবে তাদের আঘাত গুরুতর নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে এক শিক্ষার্থী বলে, স্কুল শেষে ৫০ জনের মতো শিক্ষার্থী স্কুলের চারপাশে দাঁড়িয়েছিল এবং ১৫-২০ মিনিট পর তারা মারামারিতে লিপ্ত হয়। কেউ একজন মেঝেতে পড়ে গেলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর অ্যাম্বুলেন্স আসে।