
স্বল্প আয়ের জ্যেষ্ঠ নাগরিক ও পরিবারগুলোকে ফেডারেল সরকারের যে সহায়তা জরুরি সহায়তা তাতে কি ধরনের প্রভাব ফেলেছে তার একটি পরিস্কার চিত্র উঠে এসেছে সরকারের অভ্যন্তরীণ এক নথিতে। এর ফলে গত বছর কানাডা ইমার্জেন্সি রেসপন্স বেনিফিট (সিইআরবি) ও তৎপরবর্তী কানাডা রিকভারি বেনিফিটের হাজারো সুবিধাভোগীর সহায়তার আর্থিক মূল্য কমে গেছে।
অভ্যন্তরীণ নথির তথ্য অনুযায়ী, স্বল্প আয়ের পরিবারগুলোর কানাডা চাইল্ড বেনিফিটের আওতায় প্রাপ্ত সহায়তা ব্যাপক হারে কমে গেছে। এছাড়া স্বল্প আয়ের ৮৩ হাজার জ্যেষ্ঠ নাগরিকও নিশ্চিত সম্পূরক আয়ের বাইরে চলে গেছেন। এর কারণ হচ্ছে, কাজের বাইরে চলে যাওয়া কর্মীদের জন্য সিইআরবি, শিশুদের দেখভালের জন্য বাড়িতে থাকতে বাধ্য হওয়া ব্যক্তিদের জন্য কেয়ারগিভিং বেনিফিট ও অসুস্থ কর্মীদের সিকনেস বেনিফিটকে আয় হিসেবে দেখানো হয়েছে। আয় বাড়ায় বেনিফিটের মূল্য হ্রাস পেয়েছে।
চাইল্ড বেনিফিট পেমেন্টের ওপর প্রভাব নিয়ে গত মে মাসে দেওয়া এক উপস্থাপনায় এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট কানাডার কর্মকর্তারা লেখেন, সহায়তা গ্রহণকারী প্রায় ১৫ শতাংশ মানুষ সিসিবি গ্রহণ করেছেন। সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে এ হার যেখানে ১২ শতাংশ। যাদের চাইল্ড বেনিফিটের পরিমাণ কমে যাবে বলে ধারণা করা হয়েছিল তাদের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৩ জনের আয় ২০ হাজার ডলারের নিচে এবং তাদের বেনিফিটের পরিমাণ উচ্চ আয়ের সুবিধাভোগীদের চেয়ে বেশি হ্রাস পেয়েছে।
একই সঙ্গে জরুরি সহায়তা ১ লাখ ৮৩ হাজার ৪১৭টি পরিবারের জিআইএস পরিশোধ কমিয়ে দিয়েছে, যারা এ বছর গড়ে ৩ হাজার ৫০০ ডলার করে হারিয়েছেন। পরিমাণটা গত বছর মহামারি সংশ্লিষ্ট সুবিধা হিসেবে তারা যা পেতেন তার চেয়ে কম। কারণ, প্রতি দুই ডলার নিট আয়ের বিপরীতে সম্পুরক হিসেবে এক ডলার করে দেওয়া হয়।
এদিকে সময়মতো ট্যাক্স ফাইল জমা দিতে না পারায় ১ লাখ ৩০ হাজার জ্যেষ্ঠ নাগরিকের সহায়তার অর্থ পরিশোধ স্থগিত রাখা হয়েছে। সার্ভিস কানাডা তথ্য চাওয়ার পর সংখ্যাটা ৩৫ হাজার ৫৮ তে নেমে এসেছে।
নিউ ডেমোক্র্যাট জেনি কুয়ান বলেন, তার ভ্যানকুভার রাইডিংয়ের অনেক জ্যেষ্ঠ নাগরিক বাড়ি ভাড়া প্রদান নিয়ে উদ্বেগে আছেন। যোগাযোগের ক্ষেত্রে যাদের ভাষার সমস্যা রয়েছে তারাও কেন তাদের অর্থ কমানো হলো সে তথ্য পাচ্ছেন না। জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের ওপর এটা একটা চাপ। সরকারের তরফ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নিলে এসব জ্যেষ্ঠ নাগরিক যে গৃহহীনে পরিণত হবেন, আমার মনে এ ব্যাপারে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।