নীতি কাঠামোতে বড় ট্রানজিট স্টেশনগুলোর কাছে সাশ্রয়ী ভাড়া ও মালিকানায় নির্দিষ্ট কিছু বাড়ি নির্মাণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে…ছবি/বে স্ট্রিট গ্রুপ
আরও সাশ্রয়ী আবাসনের ব্যাপারে টরন্টোর নতুন যে নীতি সে ব্যাপারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া এসেছে। অনেকেই একে নগরীর আবাসন সংকট নিরসনে সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করলেও আবাসন ব্যবসায়ীদের দাবি, নতুন প্রকল্পকে নিরুৎসাহিত করবে এ নীতি।
টরন্টো সিটি কাউন্সিলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য মঙ্গলবার এ নীতি কাঠামোর পক্ষে ভোট দেন। নীতি কাঠামোতে বড় ট্রানজিট স্টেশনগুলোর কাছে সাশ্রয়ী ভাড়া ও মালিকানায় নির্দিষ্ট কিছু বাড়ি নির্মাণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ২০২২ সাল থেকে এটি কার্যকর হবে।
প্রস্তাবিত জোনিং নীতি চালু হলে ডেভেলপারদের নতুন কন্ডোতে ৫ থেকে ১০ শতাংশ অর্থাৎ কমপক্ষে ১০০টি ইউনিট সাশ্রয়ী হিসেবে সংরক্ষিত রাখতে হবে। পর্যায়ক্রমে বেড়ে ২০৩০ সাল নাগাদ তা ৮ থেকে ২২ শতাংশে উন্নীত হবে।
স্বল্প ও নি¤œ-মধ্যম আয়ের নাগরিকদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন অ্যাকর্ন একে কিছুটা হলের তাদের বিজয় হিসেবে উল্লেখ করলেও এখানে ভয়ও দেখছে। অ্যাকর্নের ইস্ট ইয়র্ক চ্যাপ্টারের চেয়ার আলেজান্দ্রা রুইজ ভার্গাস বলেন, সিটির সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় যা উঠে এসেছে নীতিতে তার সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্য রাকা হয়নি। শক্তিশালী মার্কেট আছে এমন এলাকার কন্ডোতে কমপক্ষে ২০ শতাংশ সাশ্রয়ী আবাসন হিসেবে সংরক্ষিত রাখার দরকার ছিল। তারপরও কিছু তো হয়েছে। আরও বেশি মাত্রায় সাশ্রয়ী আবাসনের জন্য এটা বড় ধরনের সুযোগ।
নতুন এ নীতিতে হতাশা ব্যক্ত করেছে বিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেভ উইলকেস বলেন, আরও সাশ্রয়ী আবাসনের ধারণাটি ভালো। তবে টরন্টো সিটির পরিকল্পনাটি ভালো নয়।
টরন্টোর এ নীতিতে ডেভেলপার ও সিটি কর্তৃপক্ষের অংশীদারিত্বের ঘাটতি আছে বলে মনে করেন রায়ারসন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব আরবান অ্যান্ড রিজিয়নাল প্ল্যানিংয়ের অধ্যাপক ডেভিড অ্যাম্বর্স্কি। তিনি বলেন, বাজার নিয়ে একটা উদ্বেগ থাকছেই এবং তা হলো খাতটির ওপর এ বোঝা কীভাবে পড়বে এবং বাড়িমালিকদের কাঁধে তা কোন প্রক্রিয়ায় স্থানান্তরিত হবে।
অন্টারিওতে এ ধরনের নীতি এটাই প্রথম। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিভিন্ন অংশে এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ডেপুটি মেয়র আনা বেইলাও একে উল্লেখ করেছেন ভারসাম্যপূর্ণ, অগ্রসরমুখী ও ন্যায্য হিসেবে।