
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো স্কটল্যান্ডের কপ২৬ সম্মেলনে একাধিক নীতির কথা ঘোষণা করেছেন। কানাডিয়ানরা এসব নীতিকে কোন চোখে দেখছেন তা নিয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে লেজার ও অ্যাসোসিয়েশন ফর কানাডিয়ান স্টাডিজ।
অনলাইন সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৬৯ শতাংশ কানাডিয়ানই ২০৫০ সাল নাগাদ নেট-জিরোতে পৌঁছতে তেল ও গ্যাস থেকে কার্বন নিঃসরণ কমানোর যে নীতি ঘোষণা করা হয়েছে তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। ২০৩০ সালের মধ্যে কয়লা রপ্তানি বন্ধের যে নতুন নীতি তার প্রতিও সমর্থন জানিয়েছেন ৬৫ শতাংশ কানাডিয়ান। এর ফলে বিদেশে ৩ কোটি ৬০ লাখ টনের কয়লা বাণিজ্য বন্ধ হবে। বর্তমানে এর ৬৫ শতাংশ কানাডা উৎপাদন করছে।
২০২২ সালের শেষ নাগাদ দেশের বাইরে কার্যক্রম পরিচালনাকারী তেল ও প্রাকৃতি গ্যাস খাতের কোম্পানিকে প্রদত্ত ভর্তুকি বন্ধের নীতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৬১ শতাংশ কানাডিয়ান। অনলাইনে ১ হাজার ৫৬৫ জন কানাডিয়ানের ওপর সমীক্ষাটি চালানো হয়।
এসব ইস্যুতে চুক্তি সত্ত্বেও লেজারের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান বোর্ক বলেন, কানাডার জীবাশ্ম জ¦লানি উৎপাদনকারী অঞ্চল বিশেষ করে সাস্কেচুয়ান ও আলবার্টার নাগরিকরা জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এসব নীতির ব্যাপারে খুব বেশি একমত নন। কারণ, এসব পরিবর্তন তাদের অর্থনীতির ওপর প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলবে। আমরা দেখতে পাই যে, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ও কুইবেকের মতো অঞ্চলগুলো জীবাশ্ম জ¦ালানি উৎপাদন ও দূষণ হ্রাসের ব্যাপারে বেশি সম্মত। কারণ, এর ফলে তাদের অর্থনীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে না।
জলবায়ু পরিবর্তনকে কানাডা কিভাবে নিচ্ছে এ ব্যাপারে মতামত দেওয়ার ক্ষেত্রে কানাডিয়ানদের মধ্যে বিভক্তি দেখা গেছে। কানাডা এ ব্যাপারে ভালো কাজ করছে বলে অর্ধেক কানাডিয়ান মনে করলেও ভিন্নমত পোষণ করেন ৪০ শতাংশ।