ভ্যাকসিনেশন নিয়ে প্রতিবেশি অন্টারিওর চেয়ে কুইবেকের জ্যেষ্ঠ নাগরিকরা বেশি খুশি বলে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে।
লেজার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন ফর কানাডিয়ান স্টাডিজের সমীক্ষা ফলাফল অনুযায়ী, কুইবেকে দৈনিক যত সংখ্যক মানুষ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পাচ্ছেন তা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কুইবেকের ৬১ শতাংশ নাগরিক। হারটি অবশ্য দুই সপ্তাহ আগের তুলনায় সামান্য কম। তবে অন্টারিওর চেয়ে ঢের বেশি। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী অন্টারিওর ৪১ শতাংশ নাগরিক প্রদেশের ভ্যাকসিনেশন নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। আর কানাডাজুড়ে ৪৯ শতাংশ নাগরিক কিছুটা হলেও ভ্যাকসিনেশন নিয়ে তাদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন।
২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত এক হাজার ৫২৩ জন পূর্ণবয়স্ক কানাডিয়ানের ওপর সমীক্ষাটি চালানো হয়। এর মধ্যে অন্টারিওর নাগরিক ৫৮৫ এবং কুইবেকের ৩৫৭ জন।
সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী কুইবেকের ৬৫ থেকে ৬৯ বছর বয়সী ৭৬ শতাংশ নাগরিক বলেন, প্রদেশে দৈনিক যত সংখ্যক নাগরিককে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে তা সন্তোষজনক। অন্টারিওতে সংখ্যাটি মাত্র ২৭ শতাংশ।
অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জেওয়েব বলেন, সন্তুষ্টির দিক দিয়ে কুইবেকের এগিয়ে থাকার কারণ কুইবেক ৭০ বছরের কম বয়সীদের জন্য ভ্যাকসিনেশনের পথ উন্মুক্ত করেছে প্রদেশটি। অন্টারিও যেটা করেনি।
সমীক্ষায়র অংশগ্রহণকারী ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সী ৪৯ শতাংশ নাগরিক তাদের প্রদেশে যত সংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। যদিও দুই সপ্তাহ আগে এ হার ছিল ৫৬ শতাংশ।
জেডওয়াব বলেন, আগামীতে সন্তুষ্টির মাত্রার এ ব্যবধান বাড়বে কিনা সেদিকে নজর রাখতে হবে। কিন্তু এটা সত্যি যে, ৩৫ বছরের কম বয়সীরা ৫৫ বা তার বেশি বয়সীরা অতিমাত্রায় সংক্রামক ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্টে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
চিকিৎসকরা বারবার সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, অপেক্ষাকৃত তরুণরা অধিক সংক্রামক ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে বেশি হারে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। অত্যাবশ্যকীয় কর্মীরাও এর বাইরে নন।