বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
3.4 C
Toronto

Latest Posts

শিশুদের শ্রেণিকক্ষে ফেরাতে তৈরি জিটিএমএর জনস্বাস্থ্য ইউনিট

- Advertisement -
ছবি/টিডিএসবি

আগামী সপ্তাহেই শিশুদের শ্রেণিকক্ষে ফিরিয়ে আনতে গ্রেটার টরন্টো অ্যান্ড হ্যামিল্টন এরিয়ার (জিটিএমএ) সব জনস্বাস্থ্য ইউনিট প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন অন্টারিওর জনস্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. ডেভিড উইলিয়ামস। এর ফলে স্কুলগুলো নিরাপদে খুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলে তার বিশ^াস।

অন্টারিওর স্কুলগুলোতে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান মধ্য এপ্রিল থেকে বন্ধ রয়েছে। তবে প্রদেশের পরিকবল্পনা অনুযায়ী প্রথম ধাপের উন্মুক্তকরণ ১৪ জুন শুরু ও শিক্ষাবর্ষ শেষ হতে যাওয়ায় কয়েক সপ্তাহের জন্য হলেও শিশুদের শ্রেণিকক্ষে পাঠ নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে।

- Advertisement -

অন্টারিওর জনস্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. ডেভিড উইলিয়ামস এর আগে জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন কমিউনিটির মধ্যে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যার ভিত্তিতে অঞ্চলভিত্তিক শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু করা যেতে পারে। তবে বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, স্কুলগুলো খুলে দিতে গ্রেটার টরন্টো অ্যান্ড হ্যামিল্টন এরিয়ার সব জনস্বাস্থ্য ইউনিট প্রস্তুত বলে তাকে ইঙ্গিত দিয়েছে।

ডা. ডেভিড উইলিয়ামস সপ্তাহের কোনো ভালো সময় দেখে স্কুলগুলো খুলে দেওয়ার পক্ষে সরব হলেও শিক্ষাবর্ষ শেষ হওয়ার আগে এ ধরনের কোনো প্রতিশ্রুতি এখন পর্যন্ত দেননি অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড। জুনের মধ্যে নিরাপদে স্কুলগুলো খুলে দেওয়ার ব্যাপারে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষা খাতে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের মতামত চেয়ে বৃহস্পতিবার চিঠি লিখেলেচন ডগ ফোর্ড। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, বাড়িতে বসে পাঠ নেওয়ার কারণে নিম্ন আয়, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও উচ্চ সহায়তা প্রয়োজন এমন নেবারহুডের কিছু শিক্ষার্থীকে যে মানসিক স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে সরকার সেটা জানে। একই সঙ্গে এ সপ্তাহেই সরকার নতুন মডেলিংয়ে আশা করছে। সেখানে বলা হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ফিরলে জুলাইয়ের শেষ নাগাদ দৈনিক সংক্রমণ ২ হাজার থেকে ৪ হাজারের মধ্যে দঝাঁড়াতে পারে।

এর আগে অন্টারিওর সায়েন্স অ্যাডভাউজরি টেবিল বলেছিল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিলে সংক্রমিতের সংখ্যা ৬ থেকে ১১ শতাংশ বাড়তে পারে এবং সেটা ব্যবস্থাপনাযোগ্য।

শিক্ষামন্ত্রী স্টিফেন লেচিকেও এর আগে কয়েকবার বলতে শোনা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিরাপদ এবং সংক্রমণের বড় কোনো উৎস নয়। যদিও ডগ ফোর্ড তার চিঠিতে বলেছেন, কর্মক্ষেত্র বা অন্য যেকোনো স্থানের চেয়ে এপ্রিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সংক্রমণ ছড়িয়েছে বেশি। এছাড়া অন্টারিওর মাত্র ৪১ শতাংশ শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। আর সাধরণ মানুষদের মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়ার হার ৬২ শতাংশ। একে উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড।

এদিকে কোভিড-১৯ এর গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশকগুলো শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরুর পক্ষে অনুকূল বলে মত দিয়েছেন পিল রিজিয়ন জনস্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. লরেন্স লোহ।

- Advertisement -

Latest Posts

Don't Miss

Stay in touch

To be updated with all the latest news, offers and special announcements.