সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ফেডারেল তহবিল চেয়েও পাচ্ছে না কৃষ্ণাঙ্গদের একাধিক সংগঠন। এসব সংগঠনের নেতৃত্বে যথেষ্ট সংখ্যক কৃষ্ণাঙ্গ প্রতিনিধি না থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অপারেশন ব্ল্যাক ভোট নামের একটি সংগঠনের সভাপতি ভেলমা মরগান বলেন, বুধবার এ সংক্রান্ত একটি ই-মেইল তাদের সংগঠন পেয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সংগঠনটিকে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা কৃষ্ণাঙ্গ নন। পরদিন তাদের কাছে আরও একটি ই-মেইল পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়, তথ্যের ঘাটতি থাকায় তাদের আবেদনটি অনুমোদন করা যাচ্ছে না।
মরগান বলেন, অপারেশন ব্ল্যাক ভোট একটি বহুপক্ষীয় অলাভজনক সংস্থা। সব ধরনের সরকারে আরও বেশি সংখ্যক কৃষ্ণাঙ্গ প্রার্থী যাতে নির্বাচিত হতে পারেন, সে লক্ষ্যে কাজ করছে অপারেশন ব্ল্যাক ভোট। তারা একা নয়, কৃষ্ণাঙ্গদের অন্তত পাঁচটি সংগঠনে আবেদন বাতিল করা হয়েছে।
ফেডারেল সরকারের এ কর্মসূচিটির নাম দেওয়া হয়েছে সাপোর্টিং ব্ল্যাক কানাডিয়ান কমিউনিটিজ ইনিশিয়েটিভ। সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কৃষ্ণাঙ্গদের নেতৃত্বাধীন বিভিন্ন অলাভবজন ও দাতব্য সংস্থাকে তহবিল জোগান দেওয়া হচ্ছে কর্মসূচিটির আওতায়। আবেদনের জন্য যে নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে তাতে সংগঠনের নেতৃত্বে যাারা আছেন তাদের অন্তত দুই-তৃতীয়াংশকে কৃষ্ণাঙ্গ হতে হবে। সংগঠনের কাজের ক্ষেত্রও হতে হবে কৃষ্ণাঙ্গ কমিউনিটি।
মরগানের দাবি, তার দলের প্রত্যেকেই কালো মানুষ। তহবিল পাওয়ার ক্ষেত্রে যে যোগ্যতার কথা বলা হয়েছে তাতে অন্য সংগঠনগুলোর আবেদনও বাতিল হওয়ার কথা নয়। সংগঠনটি যদি কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের হয়ে থাকে তাহলে তার নেতৃত্বে তো কৃষ্ণাঙ্গরাই থাকবে এবং কাজও করবে কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য।
তবে তহবিলের জন্য অযোগ্য সংগঠনগুলোকে প্রথম যে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে তাকে পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন সামাজিক উন্নয়নমমন্ত্রী আহমেদ হুসেন। বৃহস্পতিবার রাতে এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, এ ধরনের ভুল কীভাবে হলো তা নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমি আলাপ করেছি এবং ভবিষ্যতে যাতে এর পুনরাবৃত্তি না হয় সেটা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছি।
এ ধরনের ভুল কেন হলো এবং পরবর্তী পরিকল্পনা কী? শুক্রবার পর্যন্তও এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে মরগান বলেন, লিবারেল সরকারের উচিত প্রত্যেক নীতিনির্ধারণী টেবিলে আরও বেশি সংখ্যক কৃষ্ণাঙ্গ মানুষকে নিয়োগ দেওয়া। আমাদের প্রতিনিধিত্ব না থাকলে কী হতে পারে, এটা তার জ¦লন্ত উদাহরণ।