
টরন্টোর ২০২১ সালের বাজেট অনুমোদন করেছে সিটি কাউন্সিল। টরন্টো মেয়র জন টরি একে দেখছেন শহরের ইতিহাসে অন্যতম কঠিন বাজেট হিসেবে।
১৮ ফেব্রুয়ারি এক হাজার ৩৯৮ কোটি ডলারের পরিচালন বাজেট অনুমোদন করে কাউন্সিল। পাশপাশি আগামী ১০ বছরের জন্য ৪ হাজার ৪৭০ কোটি ডলারের মূলধনী বাজেটও এদিন অনুমোদিত হয়। পরিচালন বাজেটে আবাসিক করের হার ধরা হয়েছে দশমিক ৭ শতাংশ, মেয়র জন টরির আমলে যা সর্বনি¤œ। বড় অংকের আনুমানিক তহবিলও বাজেটে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে, ফেডারেল বা প্রাদেশিক সরকারের কাছ থেকে যার প্রতিশ্রুতি এখনও পাওয়া যায়নি।
অনুমোদিত বাজেটে সম্পত্তি কর বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে বাড়ির মালিককে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ডলারের মাঝারি মূল্যের একটি বাড়ির জন্য অতিরিক্ত ৬৯ ডলার কর পরিশোধ করতে হবে। যদিও ২০২০ সালের ট্যাক্স বিলে সম্পত্তি কর গড়ে ১৩০ ডলার বেড়েছিল।
করের এ হার বৃদ্ধিকে যৌক্তিক, সহনীয় ও যথোপযুক্ত বলে দাবি করে মেয়র জন টরি বলেন, এজন্য তিনি গর্বিত। যদিও কাউন্সিলের কোনো কোনো সদস্যের মতে, করের হার বৃদ্ধির কারণে সেবার পেছনে আরও বিনিয়োগ অসম্ভব হয়ে পড়বে।
২২০ কোটি ডলার ঘাটতির মুখে দাঁড়িয়ে চলতি বছরের বাজেট প্রণয়নে গলদ্ঘর্ম হতে হয় কর্মকর্তাদের। তবে ৫৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার সঞ্চিতির ফলে ঘাটতি আংশিক কমে আসে। অবশিষ্ট ঘাটতি কমাতে সেফ রিস্টার্ট অর্থায়নের আওতায় ৭৪ কোটি ডলারের নিশ্চয়তা এরই মধ্যে পাওয়া গেছে। সরকারের অন্যান্য স্তর থেকে অনুমতি আরও ৬৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার পাওয়ার আশা করছে টরন্টো সিটি কর্তৃপক্ষ।
জন টরি বলেন, টরন্টোর ইতিহাসে এটা কঠিনতম বাজেট। জনগণ নির্ভর করে থাকেন এমন সব ধরনের সেবাই এতে অক্ষুণœ রাখা হয়েছে। এছাড়া কোভিড-১৯ এর কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোতে বিনিয়োগও করা হচ্ছে।
মহামারির কারণে ২০২০ সালে সিটি কর্তৃপক্ষের পরিচালন বাজেটে ১৮০ কোটি ডলার ঘাটতি দেখা দেয়। তবে ৫৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার সঞ্চিতি দিয়ে সে ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়। এছাড়া প্রদেশ ও শহরের অর্থনৈতিক কর্মকা- পুনরায় শুরু করতে ফেডারেল সরকারের কাছ থেকেও ১ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের সহায়তা পাওয়া যায়।