ক্রিসমাসের ছুটিতে নির্ধারিত করোনা টিকাদান কর্মসূচি তুলনামূলক ধীর গতির হওয়ায় বিরোধী দলের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে অন্টারিও প্রদেশের ক্ষমতাসীন ফোর্ড সরকার। এতে ফাইজার-বায়োএনটেক থেকে ৯০ হাজার ভ্যাকসিন প্রাপ্তির পাশাপাশি মর্ডানার ৫৩ হাজার ভ্যাকসিন পথিমধ্যে থাকায়, সেগুলোর দ্রুত প্রয়োগ ধীর গতির হওয়ায় এ সমালোচনার ঝড়। কেননা গত সোমবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রদেশটি মাত্র ১৩ হাজার ২০০ ভ্যাকসিন ডোজ প্রয়োগে সক্ষম হয়েছে।
দেখা গেছে, ২৪ ডিসেম্বর স্বল্প সময়ের জন্য ক্লিনিক খোলা ছিল। এরপর ২৫ ও ২৬ ডিসেম্বর দুদিন ক্রিসমাসের ছুটির কারণে কোনো ক্লিনিকই ভ্যাকসিন প্রয়োগের ক্ষেত্রে খোলা থাকেনি। এছাড়া রোববার মাত্র ৫টি হাসপাতালের ক্লিনিক এবং সোমবার ১০টি হাসপাতালের ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। আর মঙ্গলবার থেকে বাকি ১৯টি হাসপাতালের ক্লিনিক খোলার কথা রয়েছে। কারণ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পরিবর্তিত সময়সূচি চাওয়া হয়েছে।
এতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে প্রকাশ, ‘চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘমেয়াদি সেবাশ্রম ও হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্যসেবীদের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে যে সকল হাসপাতালে টিকাদানের আয়োজন ছিল, সেখানে সময়সূচিতে কিছুটা পরিবর্তন সাধন করা হয়েছে, কারণ ছুটিতে স্টাফ সংকট ঘটেছে।’
অবশ্য অন্টারিও হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশন এ বিষয়ে কোনো মুখ খোলেনি। তবে সিটিভি নিউজ চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ডিস্ট্রিবিউশন টাস্ক ফোর্সের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল রিক্ হিলিয়ার বলেন, হলিডে কাটানোর জন্য সন্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মীদের কিছুটা অবকাশের স্বার্থেই ছুটি দেয়া হয়েছে।
তার ভাষায়, এ সময়টায় তাদের উপর বাড়তি চাপ প্রয়োগ বা অতিরিক্ত প্রত্যাশা অনুচিত। তার ভাষায়, ‘আমরা ওই সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করিনি। আমি সে দায়ভারটি নিচ্ছি। স্পষ্টত ওই ধারণাটি ভুল। আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমরা আমাদের কাজ অব্যাহত রেখেছি।’