টিকিট বিক্রির পরও কোভিড-১৯ মহামারির কারণে যেসব ফ্লাইট বাতিল বা স্থগিত করতে হয়েছে সেসব ফ্লাইটের যাত্রীদের অর্থ ফেরত দিতে সম্মত হয়েছে এয়ার কানাডা। প্রণোদনার অর্থ পাওয়ার শর্ত হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এয়ারলাইন্সটি।
বেসরকারি খাতের কর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী সবচেয়ে বড় সংগঠন ইউনিফরের প্রেসিডেন্ট জেরি ডায়াস বলেন, এয়ার কানাডা ও ফেডারেল সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা আমাকে জানিয়েছে, প্রণোদনার শর্ত পূরণের অংশ হিসেবে টিকিটের অর্থ ফেরত দিতে রাজি এয়ার কানাডা।
যদিও ফেডারেল সরকার বা এয়ার কানাডা কেউই এখন পর্যন্ত এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেনি। যাত্রী অধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান গত বছর থেকেই টিকিটের অর্থ ফেরত দিতে এয়ারলাইন্সগুলোর কাছে দাবি জানিয়ে আসছে। তবে কবে নাগাদ কোম্পানি ও সরকারের মধ্যে প্রণোদনা সংক্রান্ত চুড়ান্ত চুক্তি হবে সেটি এখনও পরিস্কার নয়।
এয়ার কানাডাসহ সানউইং ও পর্টারের মতো অন্যান্য এয়ারলাইন্সের কর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ইউনিফর। সরকার যাতে খাতটিতে প্রণোদনা দেয় সেজন্য অনেকদিন ধরেই তদ্বির করে আসছে সংগঠনটি। জানুয়ারির শেষের দিকে ইউনিফর তাদের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করে, এয়ারলাইন্স খাতে কর্মরত তাদের ৪৫ শতাংশ সদস্যকে ছাঁটাই অথবা বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এয়ারলাইন্সভেদে এ হার সবচেয়ে বেশি এয়ার কানাডাতে। এয়ারলাইন্সটির এমন ৬০ শতাংশ কর্মী এখন কাজের বাইরে রয়েছেন।
কোভিড-১৯ মহামারিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোর অন্যতম এয়ারলাইন্স। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনার কৌশল হিসেবে কানাডা ও বিশ^ব্যাপী নাগরিকদের ঘরে থাকার আহ্বান জানানোর ফলে এয়ারলাইন্সগুলোর রাজস্ব ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে। আকাশপথে কানাডায় প্রবেশকারীদের ক্ষেত্রে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ আকাশ ভ্রমণকে আরও অনাকর্ষণীয় করে তুলেছে। কারণ, আকাশপথে কানাডায় প্রবেশকারীদের এখন নিজ খরচে হোটেলে তিন দিন কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক করেছে। ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন এ বিধান কার্যকর হয়েছে।