কানাডিয়ান কর্মকর্তারা তাদের ভারতীয় সহকর্মীদের প্রতি আইনের শাসন নিয়ে কর্মশালার আহ্বান জানিয়েছেন। শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকা- বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তেজনা সত্ত্বেও কানাডার কাছে এমনটা মনে হচ্ছে।
জ্যেষ্ঠ আমলা ওয়েল্ডন এপপ এ মাসে এমপিদের বলেন, ভারত যেভাবে চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ সংজ্ঞায়িত করে থাকে তা সব সময় আমাদের আইন ব্যবস্থায় হিসাবে আসে না। জাস্টিস কানাডা এবং আরসিএমপি অতীতে ভারতীয় সরকারের সঙ্গে কার্যকরভাবে কর্মশালা করেছে। উদ্দেশ্য ছিল আইনগতভাবে আমাদের আদর্শমান কী হবে তা ব্যাখ্যা করা।
গত বছরের জুনে শিখ কমিউনিটির নেতা হারদীপ সিং নিজ্জর ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারেতে তার গুরুদুয়ারার বাইরে গুলিতে নিহত হন। তরা সমর্থকরা বিলম্ব না করেই এজন্য ভারতকে দোষারোপ করেন। তিনিসহ কানাডার বৃহৎ শিখ সম্প্রদায়ের আরও অনেকেই খালিস্তান নামে স্বতন্ত্র রাষ্ট্র গঠনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বড় ধরনের তথ্য দেন। তাতে বলা হয়, নিজজ্র হত্যায় ভারত সরকারের সম্ভাব্য সংযোগের ব্যাপারে বিশ^াসযোগ্য অভিযোগ খতিয়ে দেখছে কানাডিয়ান গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। কানাডিয়ান কর্মকর্তারা এর পর থেকেই ভারতের সহকর্মীদের কাছ থেকে আরও ভালো সহযোগিতা চেয়ে আসছেন। যদিও ভারতীয় কর্মকর্তাদের দাবি, কানাডা খুব সামান্যই তথ্য-প্রমাণ সরবরাহ করছে।
ইন্দো-প্যাসিফিকে কানাডার কূটনীতি দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত এপ এ মাসে একটি সংসদীয় কমিটির সামনে সাক্ষ্য দেন। আরসিএমপি অভিযোগ গঠন না করা পর্যন্ত এ ব্যাপারে সামান্যই সামনে আসবে বলে জানান তিনি।
গত নভেম্বরে মার্কিন কর্তৃপক্ষ আরেকজন শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রের জন্য এক ভারতীয় কূটনীতিককে অভিযুক্ত করে। তবে ওই ষড়যন্ত্র ভেস্তে যায়। তবে নিজ্জরসহ কানাডিয়ানদের হত্যা পরিকল্পনার ব্যাপারে তারা প্রমাণ পেয়েছে বলে দাবি করেছে আমেরিকান কর্তৃপক্ষ।