একাধিক নির্বাহীর পরিবর্তন ও বড় ধরনের সাইবার হামলায় সিস্টেম ধসে পড়ার পর রুপান্তরের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে ইন্ডিগো বুকস অ্যান্ড মিউজিক ইনকর্পোরেশন। ৭ নভেম্বর কোম্পানির দ্বিতীয় প্রান্তিকের ফলাফল নিয়ে আলোচনার সময় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিদার রিজম্যান এই পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। সেখানে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি উভয় উদ্যোগই রয়েছে। তবে গ্রাহকদের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন করে জোরদার করার ঘোষণা দেওয়ার বাইরে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাবের কথা বলেননি তিনি।
রিজম্যান বলেন, আমাদের সামনে পথচলা আছে। যদিও ইন্ডিগোকে আমরা প্রবৃদ্ধি ও লাভের ধারায় ফেরাতে পারব বলে আমি আত্মবিশ^াসী।
পরিকল্পনার বিস্তারিত জানতে চাওয়া হলে ইন্ডিগোর মুখপাত্র মেলিসা পেরি এক একটি বিবৃতি দেন। তাতে বলা হয়েছে, সামনের মাসগুলোতে কোম্পানি আরও বিস্তারিত জানাবে।
৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানি নিট লোকসান করেছে ২ কোটি ২৪ হাজার ডলার। আগের বছরের একই প্রান্তিকে যেখানে লোকসানের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৫৯ লাখ ডলার। শেয়ারপ্রতি লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮০ শতাংশ। আগের বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল যেখানে ৫৭ শতাংশ।
এই লোকসানের কারণ হিসেবে বিক্রি কমে যাওয়া পুনর্গঠন ব্যয়কে দায়ী করেছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকের কনফারেন্স কলে রিজম্যান বলেন, আমরা যে পরিমাণ আয় দেখতে চাই তার জন্য কিছুটা সময় লাগবে। তবে আমরা অবশ্যই সঠিক পথে এগোচ্ছি। কনফারেন্সে তিনি কোনো প্রশ্নের মুখে পড়েননি।
২৭ বছরের বই ও গৃহ সামগ্রীর কোম্পানিটির বেশ কিছু সমস্যার মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর এই মন্তব্য করলেন তিনি। কোম্পানিটির নেটওয়ার্কে এখন স্টোর আছে ১৭১টি। রিজম্যান গত আগস্টে ব্যবসা থেকে অবসরে যান। কোম্পানির দায়িত্ব দিয়ে যান জন লুইস, অ্যান্থ্রোপলজি ও জিগশতে নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করা পিটার রুইজকে। গত সেপ্টেম্বরে তিনি ইন্ডিগো ছাড়েন। এর পরপরই রিজম্যান আবারও প্রধান নির্বাহীর পদে ফেরেন।