সমগ্র কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে দ্বিপক্ষীয় শরনার্থী চুক্তির সম্প্রসারণ চোরাচালান নেটওয়ার্কের কার্যক্রম বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পারে বলে নতুন প্রকাশিত এক মেমোতে ফেডারেল কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়েছেন। পাশাপাশি এই চুক্তি লোকজনকে আরও বেশি সীমান্ত পাড়ি দিতে বিপজ্জনক ও প্রত্যন্ত ক্রসিং বেছে নিতে উদ্বুদ্ধ করতে পারে।
কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, এর ফলে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের (আরসিএমপি) ওপর চাপ আরও বেড়ে যেতে পারে।
পাবলিক সেফটি কানাডার গত এপ্রিলের মেমোটি আমেরিকান প্রতিনিধিদের সঙ্গে ক্রস-বর্ডার ক্রাইম ফোরামের বৈঠকের আগে প্রস্তুত করা হয়।
২০০৪ সালে বাস্তবায়িত সেফ থার্ড কান্ট্রি এগ্রিমেন্টের আওতায় কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই সুরক্ষা খুঁজে নেওয়ার ক্ষেত্রে একে অপরকে স্বর্গভূমি বলে উল্লেখ করেছে। এই চুক্তিতে যেকোনো দেশকে স্থল সীমান্তে সম্ভাব্য শরনার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ থেকে ছাড়ের অধিকার থাকলেই কেবল এর ব্যতিক্রম হতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রথম যে দেশে কেউ আসবে সেখানে আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে। যদিও চলতি বছর পর্যন্তও আনুষ্ঠানিক এন্ট্রি পয়েন্ট দিয়ে সীমান্ত পাড়ি দেওয়া কারো উপরই এটা প্রয়োগ করা হয়নি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কানাডা সফরের সময় ২৪ মার্চ উভয় দেশ পুরো স্থল সীমান্তের ক্ষেত্রে থার্ড কান্ট্রি এগ্রিমেন্ট প্রযোজ্য বলে ঘোষণা করে। পরদিন থেকেই এটা কার্যকর হওয়ার কথা। তবে এই পদক্ষেপ কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসন বাড়িয়ে দিতে পারে বলে উদ্বেগ ও বিতর্কের জন্ম দেয়।
অভ্যন্তরীণ ওই মেমোতে বলা হয়েছে, উভয় দেশের মধ্যে স্বচ্ছ ও নিয়মতান্ত্রিক অভিবাসন নিশ্চিত করতে কানাডার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার একটি সুযোগ হচ্ছে ক্রস-বর্ডার ক্রাইম ফোরাম।