পদ্ধতিগত ঘাটতি থেকে নগরীকে রক্ষায় নতুন কর ও টোল নিয়ে পুরোনো বিতর্ক শিগগিরই ফিরছে টরন্টো সিটি হলে। নতুন বাজেট প্রধান শেলি ক্যারোল বলেন, আমাদের বড় পদক্ষেপ প্রয়োজন। কারণ, আমরা বড় সমস্যার সামনে রয়েছি।
টরন্টোর আর্থিক পূর্বাভাস নিয়ে সিটি ব্যবস্থাপক পল জনসনের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে। প্রতিবেদনে শত কোটি ডলার বাজেট ঘাটতি পুষিয়ে নিতে রাজস্ব সম্পর্কিত নতুন ব্যবস্থার একটা রূপরেখা থাকতে পারে, যা সিটি কাউন্সিলররা গ্রহণ করতে পারেন।
টরন্টো কাউন্সিলর জামাল মায়ার্স বলেন, এটা একটা ঐতিহাসিক বাজেট ঘাটতি। এজন্য ছোটখাটো উদ্যোগের যাওয়া উচিত নয়। এজন্য প্রত্যেকের কঠোর পরিশ্রম প্রয়োজন।
খালি পড়ে থাকা বাড়ির কর তিন শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধির উদ্যোগের প্রতি সমর্থনের কথা জানিয়ে দিয়েছেন মেয়র অলিভিয়া চাউ। সেই সঙ্গে আবাসনের জন্য মিউনিসিপালের জমি হস্তান্তরের মূল্য ৩০ ল্খা ডলারের বেশি করার পক্ষে সায় রয়েছে তারা।
রাজস্ব বাড়ানোর আরও যেসব পদ্ধতি সিটি ব্যবস্থাপক কাউন্সিলের সামনে উত্থাপন করতে যাচ্ছেন বাণিজ্যিক পার্কিং লেভি এবং ব্যক্তিগত গাড়ির কর তার মধ্যে অন্যতম। মিউনিসিপাল বিক্রয় কর অথবা মিউনিসিপাল আয়করের জন্য প্রাদেশিক অনুমোদনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। একই সঙ্গে কোনো সড়কে টোলের জন্য প্রাদেশিক সরকারের অনুমোদনের প্রয়োজন। যদিও প্রদেশের পক্ষ থেকে দ্রুতই তা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
পরিবহনমন্ত্রী ক্যারোলাইন মালরোনির একজন মুখপাত্র সিটিভি নিউজ টরন্টোকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমাদের সরকারের অন্টারিওর কোনো সড়কে নতুন কোনো টোল আরোপ করবে না।
কাউন্সিলর গর্ড পার্কস বলেন, আমার মনে প্রাদেশিক ও ফেডারেল সরকার কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়তে যাচ্ছে। আপনারা কি উদ্ভুত কোনো সমস্যা থেকে আমাদের উদ্ধার করতে বিপুল অংকের অর্থের জোগান দিতে থাকবেন? নাকি আমাদের একটি শক্তিশালী আর্থিক ব্যবস্থার ওপর দাঁড়াতে সহায়তা করবেন?
আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং তৃতীয় পক্ষ হিসেবে গত মার্চে নগরীর আর্থিক ব্যবস্থার বিশ্লেষণ করেছে। তাতে ১০ বছরে ৪ হাজার ৬৫০ কোটি ডলার আর্থিক চাপের কথঅ উল্লেখ করা হয়েছে। এটা সৃষ্টি হয়েছে মূলত পর্যাপ্ত অর্থায়ন না করা মূলধনী প্রকল্প, পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি ও ঋণ পরিশোধেল কারণে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থবহ পদক্ষেপ ছাড়া বসবাস, ভ্রমণ এবং ব্যবসার জন্য টরন্টোর ভবিষ্যত ঝুঁকিতে পড়তে পারে।