টরন্টোর আবাসন বাজারের চাহিদা ও জোগানে গত মাসে শক্তিশালী ভারসাম্য এসেছে। ব্যাংক অব কানাডার সুদের হার বৃদ্ধি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত কিছু ক্রেতাকে বাজারের বাইরে ঠেলে দিয়েছে। আরবিসির নতুন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এপ্রিল ও মে মাসে বাড়ি বিক্রি ৩২ শতাংশ বৃদ্ধির পর জুনে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ওই সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতিনির্ধারণী সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছিল।
কিন্তু ব্যাংক অব কানাডা গত মাসে সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে এবং আরেক দফা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারণী সুদের হার দাঁড়িয়েছে বর্তমানে ৪ দশমিক ৭৮৫ শতাংশ, ২০০১ সালের পর যা সর্বোচ্চ।
আরবিসির প্রতিবেদনে অর্থনীতিবিদ রবার্ট হগ এবং রাচেল বাটাগলিও লিখেছেন, এর ফলাফল হচ্ছে চাহিদা ও জোগানের মধ্যে শক্তিশালী পুনর্ভারসাম্য। এখন বাড়ির দাম দ্রুত বাড়তে থাকবে। এই এলাকার এমএলএস কম্পোজিট বেঞ্চমার্ক মূল্য মাসভিত্তিক ২ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে জুনে ১১ লাখ ৬০ হাজার ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আরবিসি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, টরন্টোর বাড়ির মূল্য ফেব্রুয়ারিতে সর্বনি¤েœ নামার পর বেঞ্চমার্ক মূল্য ৮ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। বিক্রির জন্য বাড়ির সংখ্যা টরন্টোসহ সব প্রধান বাজারেই গত মাসে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে মূল্যের চাপ কমার মতো বাড়ির সরবরাহ যথেষ্ট সংখ্যায় হয়েছে বলে মানতে রাজি নয় ব্যাংক। তারা বলছে, স্বল্প সংখ্যক ক্রেতার বিপরীতে বেশি সংখ্যক বিক্রেতার প্রবণতা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে মূল্যবৃদ্ধি মোটামুটি মাত্রায় হবে।
টরন্টোতে সব ধরনের বাড়ির দাম ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬২ ডলারে উঠে যায়। পরে তা গড়ে ১০ লাখ ৩৭ হাজার ৫৪২ ডলারে নেমে আসে। ঋণের সুদের হার বৃদ্ধির ফলে এ অবস্থা দেখা যায়। তারপরও জিটিএতে গত কয়েকমাস ধরে বাড়ির দাম বাড়ছে। জুনে জিটিএতে বাড়ির দাম গড়ে ১১ লাখ ৮২ হাজার ১২০ ডলারে উন্নীত হয়। জুনে ডিটাচড বাড়ি বিক্রি হয় ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৭ ডলারে।