
ব্যাংক অব কানাডা এপ্রিলের গোড়ার দিকে সুদের হার বাড়ানোর চিন্তা করেছিল। বুধবার প্রকাশিত এক সংক্ষিপ্তসারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ব্যাংকের পর্ষদ আরেক দফা সুদের হার বাড়ানোর কথা ভেবেছিল। এর পেছনে প্রধান যুক্তি ছিল শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি ৩ থেকে ২ শতাংশের লক্ষ্যের মধ্যে নামিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতি সামাল দিতে দীর্ঘ সময় লেগে যাওয়ার ঝুঁকি।
এ বছরের মাঝামাঝি নাগাদ মূল্যস্ফীতির হার তিন শতাংশে নেমে আসার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশাবাদী হলেও দুই শতাংশে নামিয়ে আনতে দীর্ঘ সময় লেগে যেতে পারে বলে চিন্তিত ছিল তারা। কারণ, সেবার ব্যয় এখনো অনেক বেশি।
শেষ ব্যাংক অব কানাডা ১২ এপ্রিল নীতিনির্ধারনী সুদের হার ৪ দশমিক ৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রেখেছে এবং সুদের হার বৃদ্ধির প্রয়োজন আছে কিনা সেজন্য আরও অর্থনৈতিক উপাত্তের অপেক্ষায় রয়েছে। সেই সঙ্গে মুদ্রানীতি মূল্যস্ফীতির হার দুই শতাংশে নামিয়ে আনার জন্য যথেষ্ট কার্যকর কিনা সেদিকে প্রতিনিয়ত নজর রাখছে।
ব্যাংক অব কানাডা সুদের হার বৃদ্ধির চক্রে ক্ষান্তি দেওয়ার কথা এ বছরের গোড়ার দিকে ঘোষণা করে। সে সময় তারা বলে, মূল্যস্ফীতি ও অর্থনীতি পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি তেজি না হলে সুদের হার আর বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা দেখছে না তারা।
সুদের হারের ব্যাপারে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ২ শতাংশ। তবে মার্চে মূল্যস্ফীতির হার ৪ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে এসেছে বলে সাম্প্রতিক উপাত্ত বলছে।
অর্থনীতি প্রত্যাশার বেশি তেজি থাকায় সুদের হার না কমিয়ে অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংক অব কানাডা। যদিও ব্যাংক অব কানাডার নীতিনির্ধারণী সুদের হার ২০০৭ সালের পর সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। এর ফলে কানাডিয়ানদের জন্য ঋণগ্রহণ ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে।
চতুর্থ প্রান্তিকে শূন্য প্রবৃদ্ধি হওয়ার পর প্রথম প্রান্তিকে কানাডার অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। জানুয়ারিতে প্রকৃত প্রবৃদ্ধি হয়েছে দশমিক ৫ শতাংশ। স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার প্রাথমিক হিসাব বলছে, ফেব্রুয়ারিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে দশমিক ৩ শতাংশ।