
গত শীতে ফ্রিডম কনভয় বিক্ষোভ দমনে সরকারের জরুরি আইন প্রয়োগের বিষয়ে পাঁচ সপ্তাহে ৬০ জনের বেশি সাক্ষীর বক্তব্য শুনেছে পাবলিক অর্ডার ইমার্জেন্সি কমিশন। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও সাত কেবিনেট মন্ত্রী কমিশনের সামনে হাজির হয়েছেন। কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের প্রধানসহ সংস্থার আরও দুই ব্যক্তিকেও সিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ ও লিবারেল সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদেরকেও ডাউনটাউন অটোয়ার লাইব্রেরি অ্যান্ড আর্কাইভস কানাডার দর্শক সারিতে দেখা যায়। তবে ট্রুডোর সাক্ষের দিন বিপুল মানুষের উপস্থিতি ছিলো। বিভিন্ন পুলিশ সার্ভিস ও বিভিন্ন স্তরের সরকারের কাছ থেকে পাওয়া অভ্যন্তরীণ নথিপত্রে সজ্জিত তদন্তকারীরা জরুরি আইন ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে পুলিশের দ্বিধা, দ্বন্দ্ব ও অব্যবস্থাপনার বিষয়ে এরই মধ্যে শুনেছেন। আইনটি ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ট্রুডোর মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে অনেক সাক্ষী বলেছেন, এটা কাজে এসেছে। তবে ট্রুডোর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বাদে কিছু সাক্ষী এর বিপুল ক্ষমতার ব্যাপারে আগেভাগেই সুপারিশ করেছিলেন।
ট্রুডো ও অন্য মন্ত্রীরা এ ব্যাপারে খোলামনে কথা বলেছেন। কিন্তু তাদের সাক্ষ্যও সেই পর্যন্ত সীমিত থাকবে যা আইনজীবীরা এরই মধ্যে মুখোমুখি হয়েছেন।
কমিশনার পল রোলো জিজ্ঞাসাবাদকালে কি কি বিষয় সামনে আনা যাবে সে ব্যাপারে ফেডারেল সরকারের সঙ্গে কমিশনের আইনজীবীদের চুক্তির বিষয়টি গত সপ্তাহেই খোলাসা করেন। তিনি বলেন, মন্ত্রী নন এমন ব্যক্তিদের পরামর্শসহ কেবিনেট মন্ত্রীদের মতামত প্রকাশ করা হতে পারে। তবে মন্ত্রীদের নিজেদের মধ্যকার আলাপ এবং প্রত্যেক মন্ত্রী কি বলেছেন সেগুলো এখনো গোপণীয় বিষয়।
মন্ত্রিপরিষদের নথিপত্র. ব্যক্তিগত ইমেইেল ও টেক্স মেসেজ এবং গোপন গোয়েন্দা প্রতিবেদনগুলো সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। তবে অনেক কিছুই মন্ত্রিসভার জন্য গোপনীয়, সলিসিটর-ক্লায়েন্ট প্রিভিলেজ অথবা জাতীয় নিরাপত্তার কারণে বাদ দেওয়া হয়েছে।
যাদেরকে সাক্ষ্যের জন্য ডাকা হয় তারা হলেন সিএসআইএসের পরিচালক ডেভিড ভিনোল্ট, সিএসআইএসের উপপরিচালক মিশেল টেসিয়ের, ইন্টিগ্রেটেড টেরোরিজম অ্যাসেসমেন্ট সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক মেরি-হেলেন শায়ের। এই তিনজন প্যানেলের সামনে হাজির হয়ে সিএসআইএসের প্রস্তুতি সম্পর্কে মূল্যায়ন করেন।