
লং কোডিড মোকাবেলায় অন্টারিওর সমন্বিত কৌশল প্রয়োজন বলে সায়েন্স টেবিলের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ, অন্টারিওর জনগণ ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর এটি বড় ধরনের বোঝা তৈরি করছে।
একদল বিজ্ঞানীর মতে, স্বাস্থ্য, সামাজিক ও অর্থনীতির ওপর লং কোভিডের দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাব হ্রাসে গবেষণায় উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে পর্যাপ্ত জনবল দরকার। লং কোভিডকে সাধারণত কোভিড পরবর্তী স্বাস্থ্য পরিস্থিতিকে বুঝিয়ে থাকে।
প্রতিবেদনের প্রধান লেখক ডা. কিয়েরান কুইন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, কোভি-পরবর্তী অবস্থা বিবেচনায় নিলে বলা যায়, এটা আমাদের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা, আমাদের নাগরিক, অর্থনীতি ও সামাজিক সেবার ওপর বড় ধরনের ঝুঁকি ও বোঝা তৈরি করছে। এটা মোকাবেলায় আমাদের অগ্রবর্তী প্রস্তুতি থাকতে হবে। লং কোভিড নিয়ে এখনও যথেষ্ট অনিশ্চয়তা রয়েছে। যেমন এটি কীভাবে সংজ্ঞায়িত হবে?
সায়েন্স টেবিল বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তবে বুধবার প্রকাশিত এর ব্রিফে লং কোভিড নিয়ে বোঝাপড়ার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বৈজ্ঞানিক পরামর্শদাতা একটি গ্রুপ ২ থেকে ৫৪ শতাংশ জনগণের মধ্যে লং কোভিডের উপস্থিতি দেখতে পেয়েছে। তবে এটা নির্ভর করছে অবস্থাটিকে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করা হবে তার ওপর। কোভিড-১৯ সংক্রমণের কমপক্ষে ৪ থেকে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত উপসর্গ থাকলে তাকে লং কোভিড হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছে সায়েন্স টেবিল।
সায়েন্স টেবিলের ব্রিফে বলা হয়েছে, বর্তমান যে অবস্থা তাতে সমসাময়িক ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত ভ্যাকসিন নেওয়া ২ থেকে ১০ শতাংশ মানুষের ১২ সপ্তাহ ধরে উসর্গ রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আরও সুনির্দিষ্টভাবে জানতে অধিকতর গবেষণার প্রয়োজন।
আশাবাদী হওয়ার কিছু কারণ রয়েছে বলে জানান কুইন। তিনি বলেন, এ ধরনের মানুষের সংখ্যা বেশি ছিল মহামারির শুরুর দিকে। সে সময় লোকজন অনেক বেশি অসুস্থ্য হয়েছিল।
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট দেখা দেওয়ার পর কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত বিপুল সংখ্যক মানুষ রয়েছে, যারা আগামীতে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
অন্টারিওর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, সায়েন্স টেবিলের গবেষণায় উঠে আসা বিষয়গুলো তারা পর্যালোচনা করে দেখছে। তবে এ নিয়ে প্রদেশের কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা সেই প্রশ্নের উত্তর তাদের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অন্টারিও জনস্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. কিয়েরান মুর এর আগে বলেন, অন্টারিওবাসীর জন্য লং কোভিড নিয়ে পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাননি তিনি। ডা. মুর বলেন, সেটা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নকৃত উদ্যোগ এবং আমার বিশ^াস আগামী কয়েক দিন বা সপ্তাহের মধ্যে তা প্রকাশ করা হবে।