
অন্টারিওতে ভাইরাসের বিস্তার দ্রুত বাড়ছে এবং বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হচ্ছেন। এর প্রভাব আঁচ করতে পারছে অন্টারিওর হাসপাতালগুলো।
পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে যে, কিছু হসপিটাল নেটওয়ার্ক তাদের কয়েকশ কর্মী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন অথবা আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসার পর তাদেরকেত বিচ্ছিন্নবাসে যেতে হয়েছে বলে জানিয়েছে।
টরন্টোর ইউনিভার্সিটি হেলথ নেটওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেভিন স্মিথ বলেন, উচ্চ সংক্রামক ওমিক্রনের কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় দৈনিক অন্তত একশ কর্মী অনুপস্থিত থাকছেন। স্বাস্থ্যকর্মী গাছে ধরে না। তাই তাদের সরবরাহ খুবই কম এবং তাদের উচ্চ চাহিদা এখন সবখানে।
টরন্টো জেনারেল হাসপাতাল, টরন্টো ওয়েস্টার্ন ও প্রিন্সেস মার্গারেট হাসপাতালসহ ইউনিভার্সিটি হেলথ নেটওয়ার্কের পাঁচটি হাসপাতালে বর্তমানে কাজের বাইরে রয়েছেন যত সংখ্যক কর্মী সংখ্যাটা আগের ঢেউগুলোতে এতো উচ্চ ছিল না। তবে গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে খুব কম রোগী আসছেন বলে জানান স্মিথ। তা সত্ত্বেও রোববার প্রদেশে নতুন করে ১৬ হাজার ৭১৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে অন্টারি জনস্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে। তবে শনিবার এ সংখ্যা ছিল রেকর্ড ১৮ হাজার ৪৪৫ জন। প্রদেশে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে বর্তমানে এক লাখে।
অন্টারিও হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশন রোববার এক টুইটে জানায়, প্রাপ্ত বয়স্ক ২১৮ জন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে ১১২ জন ভেন্টিলেশনে আছেন। এর ফলে সাতদিনের গড় হিসেবে আইসিইউতে ভর্তি গুরুতর রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯৫ জনে।
কর্মীরা বিদ্যমান রোগীর ব্যবস্থাপনা ভালোভাবেই করতে পারছেন বলে স্মিথ জানালেও পরিস্থিতি যে বদলে যেতে পারে তা নিয়েও উদ্বিগ্ন তিনি। স্মিথ বলেন, স্কুলসহ অন্যান্য পরিবেশে বেশি সংখ্যক মানুষ সামাজিক জমায়েতে আগ্রহী হয়ে ওঠায় সংক্রমণ বৃদ্ধির ঝুঁকির ব্যাপারে আমি শঙ্কিত। তবে আশার কথা হলো লোকজনের অতোটা হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হবে না। কিন্তু অন্যান্য দেশে আমরা শিশুদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তির ঘটনা দেখতে পাচ্ছি। এ ব্যাপারে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।