
স্বাস্থ্যখাতসহ বিভিন্ন পরিষেবায় র্যানসামওয়্যারের আক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সাইবার নিরাপত্তা জোরদারে কানাডিয়ানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ফেডারেল মন্ত্রীরা। সোমবার এক খোলা চিঠিতে তারা সর্বাধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। সেই সঙ্গে হামলার বিরুদ্ধে সঠিক পরিকল্পনা গড়ে তোলার পাশাপাশি এ ধরনের হামলা প্রতিরোধে তথ্য-প্রযুক্তি কর্মী নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
সাইবার হামলাকারীদের রানসামওয়্যার হামলার শীর্ষ লক্ষ্যবস্তুতে রয়েছে কানাডা এবং ডিজিটাল কারেন্সিতে মুক্তিপণ না দেওয়া পর্যন্ত হামলাকারীরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জিম্মি করে রাখে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে চিঠিতে মন্ত্রীরা উল্লেখ করেছেন, আপনার ও সব কানাডিয়ানকে সুরক্ষিত রাখতে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি আমরা। আমাদের বার্তা পরিস্কার এবং তা হলো আপনার প্রতিষ্ঠানের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে মৌলিক কিছু পদক্ষেপ নিলে হাতেনাতে এর ফল পাবেন।
ইমার্জেন্সি প্রিপেয়ার্ডনেস মন্ত্রী বিল ব্লেয়ার, জননিরাপত্তা মন্ত্রী মার্কো মেন্ডিসিনো, প্রতিরক্ষামন্ত্রী অনীতা আনন্দ ও ক্ষুদ্র ব্যবসা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী মেরি এনজি খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করেন। এতে বলা হয়েছে, কানাডার ছোট ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য সেবাদাতা, পরিষেবা ও মিউনিসিপালিটিগুলোকে লক্ষ্য করে এ বছর রানসামওয়্যার হামলার হুমকি বাড়তে দেখা গেছে।
দ্য কানাডিয়ান প্রেস জানায়, কানাডিয়ান সেন্টার ফর সাইবার সিকিউরিটি নতুন র্যানসামওয়্যার প্লেবুক প্রকাশ করেছে। তাতে র্যানসামওয়্যারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ ও আক্রান্ত হলে কি করবেন সে ব্যাপারে রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে।
মন্ত্রিদের স্বাক্ষরিত চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, র্যানসামওয়্যারে আক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত তাদের পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা, পেশাদার সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞের সহায়তা নেওয়া এবং আক্রান্ত হলে দ্রুত তা ফেডারেল সাইবার সেন্টারের অনলাইন পোর্টালের পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশকে অবহিত করা।
হালনাগাদ থ্রেট বুলেটিনে সাইবার সেন্টার সোমবার বলেছে, মধ্য নভেম্বর পর্যন্ত কানাডিয়ানদের লক্ষ্য করে ২৩৫টি র্যানসামওয়্যার আক্রমণের তথ্য তারা জানতে পেরেছে। আক্রান্তদের অর্ধেকই গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো সেবা প্রদানকারী। তবে এটা মনে রাখা দরকার যে র্যানসামওয়্যার হামলার অধিকাংশ ঘটনায় জানানো হয় না। একবার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হলে ভুক্তভোগী বারবার র্যানসামওয়্যার হামলার শিকার হয়ে থাকে।
সবচেয়ে বেশি মুক্তিপণও আদায় করা হয়েছে এ বছর। র্যানসামওয়্যার হামলা চালিয়ে এ বছর ২ লাখ ডলারের মতো মুক্তিপণ আদায় করা হয়েছে বলে বুলেটিনে উল্লেখ করা হয়েছে।