
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বিশে^র যেকোনো দেশ থেকে আকাশপথে কানাডায় প্রবেশকারীদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার নিম আরোপ করতে যাচ্ছে কানাডার ফেডারেল সরকার। ওমিক্রনের কারণে নতুন উদ্বেগ থেকে এ সিদ্ধান্ত।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জঁ-ইভস ডুকলস মঙ্গলবার বলেন, আজ থেকে আমরা ঘোষণা করছি যে, যুক্তরাষ্ট্র ব্যতিত বিশে^র অন্যান্য দেশ থেকে আকাশপথে কানাডায় প্রবেশকারীদের বিমানবন্দরে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে হবে। ভ্যাকসিন নেওয়া হোক বা না হোকে উভয়ের ক্ষেত্রেই নিয়মটি প্রযোজ্য হবে। এরপর পরীক্ষার ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত তাদেরকে আইসোলেশনে থাকতে হবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এটি কার্যকর হবে। সেই সঙ্গে মার্কিন সীমান্তের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য কি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে সে ব্যাপারেও প্রাদেশিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন দেশের সংখ্যাও আরও বাড়িয়েছে কানাডা। নতুন করে তিনটি দেশ নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে। দেশগুলো হলো নাইজেরিয়া, মালাবি ও ইজিপ্ট। এর আগে আফ্রিকার সাতটি দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল কানাডা। দেশগুলো হলো দক্ষিণ আফ্রিকা, মোজাম্বিক, বতসোয়ানা, জিম্বাবুয়ে, লেসোথো, নামিবিয়া ও সোয়াতিনি। আক্রান্ত দেশগুলোতে সর্বশেষ ১৪ দিন ভ্রমণ করেছেন এমন বিদেশি নাগরিকদের কানাডায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা মঙ্গলবার বলেন, উল্লিখিত ১০টি দেশ ভ্রমণকারী সব কানাডিয়ান নাগরিক ও স্থায়ী বসবাসকারীদের দেশে ফেরার আগে অন্য দেশে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে হবে।
পরিবহনমন্ত্রী ওমর আলঘাবরা বলেন, কানাডায় প্রবেশের পর তাদেরকে আবার পরীক্ষা করা হবে। প্রথম দিনের পরীক্ষার ফলাফল পেতে তাদেরকে নির্ধারিত স্থানে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
তবে ভ্যাকসিন গ্রহীতা ভ্রমণকারীরা কোভিড নেগেটিভ ফলাফল হাতে পাওয়ার পর অন্যত্র কোয়ারেন্টিনের পরিকল্পনা করতে পারবেন। আর ভ্যাকসিন না নেওয়া ভ্রমণকারীদের নির্ধারিত সেন্টারেই পুরো ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
এদিকে তৃতীয় দেশে কোভিড-১৯ পরীক্ষার নিয়ম মঙ্গলবার রাত থেকেই কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ওমিক্রন ধরনটি ডেল্টার চেয়ে বেশি সংক্রামক এবং সম্ভবত এটি বেশি মারাত্মক এই আশঙ্কা থেকে বিশ^ব্যাপী দেশগুলো নতুন করে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। যদিও এর পক্ষে কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত গবেষণায় প্রমাণিত হয়নি। এছাড়া ধরনটি বিদ্যমান ভ্যাকসিনের সুরক্ষা এড়িয়ে যেতে সক্ষম কিনা বিজ্ঞানীরাও এখন পর্যন্ত সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন।
তবে কানাডাসহ বিশ^ব্যাপীই সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। অন্টারিওতে সোমবারের মধ্যেই সম্প্রতি বিদেশ ভ্রমণকারী চারজনের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। কুইবেকে সনাক্ত হয়েছেন একজন। এছাড়া আলবার্টা ও ব্রিটিশ কলাম্বিয়াতেও ধরনটিতে আক্রান্ত একজন করে রোগী সনাক্ত হয়েছেন।