ডাউনটাউনে সীমিত সংখ্যক যাত্রী আসা-যাওয়া করায় টিটিসিকে এখনও ধুঁকতে হচ্ছে। এ অবস্থায় আরও দুই বছর যাত্রী সংখ্যা মহামারি-পূর্ব সময়ের নিচেই থাকবে।
মহামারির শুরুর দিকে ব্যাপক হারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় টিটিসির যাত্রী সংখ্যা এক পর্যায়ে ৮৮ শতাংশ কমে গিয়েছিল। এরপর যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে। তারপরও এখন পর্যন্ত তা মহামারি-পূর্ব সময়ের মাত্র ৪৫ শতাংশ। এর ফলে গত বছরে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাতে হয়েছে টিটিসিকে।
টিটিসির যাত্রী সংখ্যার হাল হকিকত নিয়ে বুধবার টিটিসি বোর্ডের সামনে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, যাত্রী সংখ্যা মহামারি-পূর্ব সময়ের ৫০ শতাংশে পৌঁছতে ২০২১ সাল পর্যন্ত লেগে যাবে। আর মহামারি-পূর্ব অবস্থায় ফিরতে লেগে যাবে কয়েক বছর। এছাড়া ২০২২ সাল শেষে টিটিসির যাত্রী সংখ্যা দাঁড়াবে মহামারি-পূর্ব সময়ের ৬৯ থেকে ৯৩ শতাংশ। আর ৮১ থেকে ৯৫ শতাংশে পৌঁছাতে অপেক্ষা করতে হবে ২০২৩ সালের শেষ পর্যন্ত। তবে মহামারি-পূর্ব অবস্থায় ফিরতে কত সময় লাগবে সেটা পরিস্কার নয়। কারণ, ডাউনটাউন অফিসে কর্মীদের ফেরা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে।
২০২০ সালে যাত্রী ভাড়া বাবদ ৭০ কোটি ৪০ লাখ ডলার রাজস্ব হারিয়েছে টিটিসি। অনেক কর্মী এখনও বাড়ি থেকে কাজ করাকে প্রাধান্য দেওয়ায় এ বছরও রাজস্বে বড় ধরনের পতন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। টিটিসির বোর্ডে উপস্থাপিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালের শুরুর দিকে যাত্রী সংখ্যা মহামারি-পূর্ব সময়ের ৭০ শতাংশে ফিরবে বলে মনে করছেন টিটিসির কর্মীরা। কিন্তু সেটাও শর্তসাপেক্ষ। সেজন্য ডাউনটাউন অফিস অকুপেন্সির হার মহামারি-পূর্ব সময়ের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ হতে হবে। বর্তমানে এ হার ৯ শতাংশ। টিটিসির সমীক্ষা অনুযায়ী, কর্মীদের অর্ধেকই মহামারি পরবর্তী সময়ে অফিস স্পেস ও কর্মক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আশা করছেন।
সমীক্ষা প্রতিবেদনটি বলছে, সাবওয়ে ও স্ট্রিটকার ব্যবহারকারীদের জন্যই কেবল নয়, ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বাসযাত্রীর জন্যও বাড়ি থেকে কাজ ও ডাউনটাউনে ফেরা সবচেয়ে বড় চলক।
উত্তর আমেরিকার যেসব ট্রানজিট সেবা যাত্রী ভাড়ার ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল, টিটিসি তার মধ্যে অন্যতম। মহামারি-পূর্ব সময়ে এর বাজেটের ৭০ শতাংশই আসত যাত্রী ভাড়া থেকে।