সামনের কয়েকটা মাস কানাডার জন্য সত্যিই কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন কানাডার জনস্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. তেরেসা ট্যাম। এ অবস্থায় বিদেশ থেকে সংক্রমণ বয়ে আনা ও কোভিড-১৯ বিস্তারের ঝুঁকি প্রশমনে কাজ করা এখন সবচেয়ে জরুরি।
এমন এক সময় তিনি এ মন্তব্য করলেন যখন কানাডায় নতুন ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত ৯ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় দেখা দেওয়া ভাইরাসে কানাডায় এখন পর্যন্ত কেউ আক্রান্ত হয়নি।
তিনি বলেন, সব সময়ই ভাইরাসের মিউটেশন হতে পারে। এর ফলে ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতা বাড়তে পারে কিংবা অন্য ধরনের বৈশিষ্ট ধারণ করতে পারে। এটা কেবল যুক্তরাজ্যে নয়, বিশে^র যেকোনো স্থানেই হতে পারে। এ অবস্থায় অনাবশ্যক ভ্রমণ না করাটা সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরতদের কানাডায় প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে আলাদা করে ফেলা হবে। তবে একটি দেশকে বেশি গুরুত্ব না দিয়ে সামগ্রিক স্বাস্থ্যবিধির দিকে মনোযোগ দেওয়াই বেশি ভালো। তবে এটা সত্য যে, কিছু দেশ আছে যারা করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ সনাক্তে অন্যদের চেয়ে বেশি সক্ষম।
মহামারির শুরু থেকে কানাডা করোনাভাইরাসের জিনোম সিকুয়েন্সিং করে আসছে এবং প্রতি ১০০ আক্রান্তের বিপরীতে পাঁচটির জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়েছে এ পর্যন্ত। ফেডারেল ও প্রাদেশিক সরকারের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে বর্তমানে এতে গতি আনা হয়েছে বলে জানান ডা. তেরেসা ট্যাম। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যে সনাক্ত হওয়া ভাইরাসটির মাধ্যমে সংক্রমণ যদি বাড়তে থাকে তাহলে বাড়তি পদক্ষেপ নিতে হতে পারে। দ্রুত বাড়তে থাকা সংক্রমণ থামাতে কমিউনিটিভিত্তিক পদক্ষেপ সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। দেশজুড়ে সংক্রমণ থামাতে কানাডিয়ানদের সামনে কঠিন কাজ অপেক্ষা করছে।