আগামী চার সপ্তাহে কানাডায় ভ্যাকসিন সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনবে ফাইজার। ভ্যাকসিন কর্মসূচির ওপর এটা বড় ধরনের ধাক্কা। কারণ, কানাডার অনেক অঞ্চলে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা, হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু সবই বাড়ছে।
ফাইজারের ইউরোপীয় কারখানা থেকে যেসব দেশকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে তাদের সবার সরবরাহই হ্রাস পাবে। কারখানাটি আধুনিকায়নের প্রয়োজনে সরবরাহ কমাচ্ছে তারা। তবে আধুনিকায়ন সম্পন্ন হলে এ বচর আরও বেশি পরিমাণে ভ্যাকসিন উৎপাদনে সক্ষম হবে কোম্পানিটি। তবে সেজন্য অনেক দেশের জন্য ভ্যাকসিনের সরবরাহ পিছিয়ে যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার বিষয়টি অবগত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কানাডার ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রী অনীতা আনন্দ। খবরটি হতাশঅজনক হলেও এর প্রভাব খুব বেশি হবে না বলেও দাবি করেন তিনি।
অনীতা আনন্দ বলেন, এটা সাময়িক সরবরাহ হ্রাস। সরবরাহ বন্ধের কোনো বিষয় নয়। সুতরাং আগামী কয়েক মাসেও ফাইজার ও মডার্নার কাছ থেকে ভ্যাকসিনের সরবরাহ আসবে। যে ডোজগুলো কম আসবে ফেব্রুয়ারি ও মার্চের সরবরাহের মাধ্যমে তা পুষিয়ে দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন ফাইজার।
এদিকে কানাডার জনস্বাস্থ্য এজেন্সি শুক্রবার নতুন মডেলিং প্রকাশ করেছে। তাতে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে সে পর্যন্ত ১৯ হাজার ৫০০ জনের মৃত্যু হতে পারে বলেও প্রাক্কলন করা হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত কানাডায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৯১। এছাড়া মারা গেছেন মোট ১৭ হাজার ৫৩৮ জন। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি কুইবেক ও অন্টারিওতে।
ফাইজার ও মডার্নাÑএখন পর্যন্ত এ দুটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে কানাডা। মার্চের আগেই ফাইজারের কাছ থেকে ৪০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা রয়েছে। এ সময় পর্যন্ত মডার্নার ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহের কথা রয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে প্রতি সপ্তাহে ২ লাখ ৮ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহের কথা রয়েছে ফাইজারের। ফেব্রুয়ারিতে এর পরিমাণ সপ্তাহে ৩ লাখ ৬৭ হাজার ডোজে উন্নীত হওয়ার কথা।
মেজর জেনারেল ডনি ফোর্টিন বলেন, আগামী সপ্তাহের সরবরাহ ঠিমতোই হবে। কিন্তু জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে ফাইজারের ভ্যাকসিন সরবরাহ লক্ষ্যমাত্রার এক-চতুর্থাংশে নেমে আসবে। আর ফেব্রুয়ারিতে নেমে আসবে অর্ধেকে। এরপর ধারাবাহিকভাবে সরবরাহ বাড়বে। সব মিলিয়ে আগামী চার সপ্তাহে কানাডিয়ানরা যে পরিমান ভ্যাকসিন পাবেন বলে ধারণা করা হয়েছিল, প্রকৃতপক্ষে পাবেন তার অর্ধেক। তবে ফ্রেব্রুয়ারি ও মার্চে এ ঘাটতি পুষিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ফাইজার।