শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
9.5 C
Toronto

Latest Posts

কানাডায় প্রবেশ করলেই কোয়ারেন্টিন

- Advertisement -

আন্তর্জাতিক যাত্রীরা কানাডায় প্রবেশ করলেই হোটেলে তিন দিনের কোয়ারিন্টনে থাকতে হবে। পাশাপাশি ক্যারিবিয়ান দেশগুলোতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও জারি করতে যাচ্ছে ফেডারেল সরকার। করোনাভাইরাসের নতুন নতুন ধরন যাতে কানাডায় প্রবেশ করতে না পারে সেজন্যই এসব উদ্যোগ।

- Advertisement -

বিমানবন্দরে অবতরণের পর আন্তর্জাতিক যাত্রীদের পিসিআর কোভিড-১৯ পরীক্ষা করাতে হবে। ফলাফল পাওয়ার আগ পর্যন্ত নির্ধারিত হোটেলে তাদেরকে সর্বোচ্চ তিন দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এজন্য যে ব্যয় হবে সংশ্লিষ্ট যাত্রীকেই তা বহন করতে হবে এবং এর পরিমাণ দাঁড়াবে জনপ্রতি ২ হাজার ডলারের বেশি।

কোভিড পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তার বাড়ি ফেরার বা চূড়ান্ত গন্তব্যে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে এবং সেখানে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন সম্পন্ন করতে হবে। আর কোভিড পজিটিভ হলে সুস্থ্য না হওয়া পর্যন্ত হোটেই অবস্থান করতে হবে।

কানাডাগামী সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট এখন কেবলমাত্র চারটি স্থানে অবতরণ করতে পারবে, যেখানে পরীক্ষা ও হোটেল কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এগুলো হলো ভ্যানকুভার, টরন্টো, মন্ট্রিয়ল ও ক্যালগেরি।
পাশাপাশি ক্যারিবিয়ান ও মেক্সিকোর অবকাশ কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে কানাডার ফ্লাইট রোববার থেকে অন্তত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত থাকছে। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এ প্রসঙ্গে বলেন, অবকাশের জন্য ভ্রমণের সময় এখন নয়। অবকাশ যাপনের জন্য ভ্রমণের পরিকল্পনাগুলো আমরা ভালো সময়ের জন্য তুলে রাখতে পারি।

ক্যারিবিয়ান ও মেক্সিকোতে যাত্রী পরিবহনকারী চারটি এয়ারলাইন্স ওয়েস্টজেট, এয়ার কানাডা, সানউইং ও এয়ার ট্রানজাট ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে সব ধরনের সহযোগিতা আমাদের করছে।

তাদের ওপর নতুন এ বিধিনিষেধের প্রভাব মহামারি-সম্পর্কিত আগের সব পদক্ষেপের চেয়ে বেশি হবে না বলে জানিয়েছে এয়ার কানাডা। আর ওয়েস্টজেট বলছে, সরকারের দেওয়া বিধিনিষে তারা পরিপালন করবে এবং আগামী দুই সপ্তাহের জন্য কানাডার বাইরে থেকে যাত্রীদের ফিরিয়ে আনার কাজ জারি রাখবে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে যেসব অনাবশ্যক ভ্রমণকারী স্থল সীমান্ত দিয়ে কানাডায় প্রবেশ করতে চাইবেন তাদেরকেও সীমান্তে পিসিআর টেস্টের কোভিডমুক্ত সনদ দেখাতে হবে।

আন্তর্জাতিক যাত্রীদের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে সনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরন কানাডায় ঢুকে পড়েছে। যুক্তরাজ্যে সনাক্ত হওয়া বি১১৭ করোনভাইরাসের কথা উল্লেখ করে ট্রডো বলেন, এই ভাইরাসটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। ব্যারি লং-টার্ম কেয়ার হোমের বাসিন্দারা সংক্রমণের বড় ঝুঁকিতে আছেন। এখন পর্যন্ত সেখানে ৫০ জনের বেশি মারাও গেছেন।

- Advertisement -

Latest Posts

Don't Miss

Stay in touch

To be updated with all the latest news, offers and special announcements.