আরেক দফা প্রাদেশিক সরকার অধিকাংশ অন্টারিও প্রদেশ জুড়ে ‘স্টে-এট্-হোম’ বা ঘরে থাকার আদেশের মেয়াদ বাড়িয়েছে। একই সঙ্গে সামগ্রিক অর্থনীতির স্বার্থে ও জনজীবনের স্বাভাবিকতা নিশ্চিত করার মানসে আঞ্চলিকভিত্তিতে ‘কালার-কোডেড’ প্রক্রিয়ায় দোকান-পাট খোলারও উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
গত সোমবার কুইন্স পার্কে অন্টারিও প্রিমিয়ার ডাঘ ফোর্ড জানিয়েছেন, জরুরি অবস্থার নিমিত্তে ‘স্টে-এট্-হোম’ অর্ডার আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টরন্টো এবং পিল ও ইয়র্ক রিজিওনে বলবৎ থাকবে। এছাড়া কিংস্টন, ফ্রন্টেনাক ও লেনক্স, অ্যাডিংটন পাবলিক হেলথ্, হেস্টিং প্রিন্স এডওয়ার্ড পাবলিক হেলথ্ এবং রেনফ্রিউ কাউন্টি ও ডিস্ট্রিক্ট পাবলিক ইউনিট বাদে ওই ‘স্টে-এট্-হোম’ অর্ডার সর্বত্র ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
ওই তিনটি অঞ্চলে ‘স্টে-এট্-হোম’ অর্ডার ১১ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার সঙ্গে স্বাভাবিক জীবনযাত্রার উত্তরণ ‘গ্রীন লেবল’ দিয়ে শুরু হবে, অর্থাৎ রেস্তোরা ও বারে বসে খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি সপিংমলগুলো খুলবে। বলাবাহুল্য, ২৬ ডিসেম্বর লকডাউনের আগে ওই বর্ণ লেবেল বিশিষ্ট স্বাভাবিক জীবনযাত্রার প্রক্রিয়াটি অব্যাহত ছিল। আর গ্রীন, ইয়োলো, অরেঞ্জ, রেড, ব্ল্যাক ও গ্রে রংবিশিষ্ট ধাপগুলো বাধ্যবাধকতার স্বরূপ বোঝাতে নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া আগামী ১৬ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে প্রদেশের অপরাপর অঞ্চলের জন্য নিরাপদে ‘স্টে-এট্-হোম’ অর্ডারের বাধ্যবাধকতা তুলে নেয়া হবে। সরকারের ধারণা, ওই সময়ের মাঝে জরুরি অবস্থার বিধি-বিধানগুলো তুলে নেয়া সঠিক সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত ।
গত সোমবারের ওই ঘোষণাকালে প্রিমিয়ার ফোর্ড বলেন, ‘আজ মেঘের আড়ালে কিছুটা সূর্যরশ্মি দেখা দিয়েছে। বন্ধুরা আমাদের পদক্ষেপ কাজে লেগেছে এবং ঘরে থাকায় জীবন বেঁচেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রদেশব্যাপি লকডাউনের উত্তরণ ঘটাতে সক্ষম হবো।’
অন্যদিকে, প্রাদেশিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্রিস্টিন ইলিয়ট বলেন, ‘আমরা নিরাপদে প্রদেশব্যাপি লকডাউনের উত্তরণ ঘটাতে যাচ্ছি, যাতে কমিউনিটিতে দ্রুত করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি না পায় এবং তাতে সাবধানতার স্তরগুলো যথাযথভাবে থাকছে।’ তবে প্রাদেশিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ডেভিড উইলিয়ামসের মতে, ‘সোমবারের এই ঘোষণার অর্থ এটা নয়, আমরা স্বাভাবিকতায় ফিরে যাচ্ছি।’