
অন্টারিওর স্কুল, লং-টার্ম কেয়ার হোম, অত্যাবশ্যকীয় কর্মস্থলগুলোতে র্যাপিড কোভিড-১৯ টেস্টের আওতা আগামী সপ্তাহ থেকে বাড়ানো হচ্ছে। অন্টারিও সরকারের তরফ থেকে শুক্রবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জরুরি অবস্থার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ফেরার অপেক্ষায় আছে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক কর্মকা-ও পর্যায়ক্রমে খুলে দেওয়া হচ্ছে। এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে র্যাপিড টেস্টের আওতা বাড়াতে যাচ্ছে অন্টারিও সরকার। কর্মসূচিটি পুরোদমে শুরু হলে সপ্তাহে ১০ লাখ র্যাপিড টেস্ট করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন প্রদেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
কয়েক মিনিটের মধ্যেই র্যাপিড টেস্টের ফলাফল পাওয়া যাবে জানিয়ে অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড বলেন, সম্মুখসারির কর্মী ও সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা বয়স্কদের বাড়তি সুরক্ষা দিতে তাদেরকে ঘর থেকে বের করে আনাটা জরুরি।
করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ বাড়ার মধ্যেই র্যাপিড টেস্টের আওতা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনার যে সাফল্য তা ম্লান করে দিতে পারে নতুন ভ্যারিয়েন্ট।
গত নভেম্বর থেকে অন্টারিও ৬০ লাখ র্যাপিড টেস্ট কিট পেয়েছে। এর মধ্যে ২০ লাখ কিট বিতরণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, ফেডারেল সরকারের কাছ থেকে অন্টারিও কী পরিমাণ কিট পায় তার ওপর নির্ভর করছে র্যাপিড টেস্টের গতি বৃদ্ধি।
অন্টারিও সরকারের তথ্যমতে, ৪৫৫টি লং-টার্ম কেয়ার হোমে এখন পর্যন্ত ৯ লাখ র্যাপিড টেস্ট সরবরাহ করা হয়েছে। তবে এসব লং-টার্ম কেয়ার হোমে সাপ্তাহিক ৩ লাখ ৮৫ হাজার টেস্টের চাহিদা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া ১৫২টি রিয়াটারমেন্ট র্যাপিড টেস্ট সরবরাহ করা হয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার। এগুলোতে টেস্টের সম্ভাব্য চাহিদা রয়েছে সপ্তাহে ১ লাখ ১৮ হাজার।
সরকার বলছে, অন্টারিও পাওয়ার জেনারেশন, নির্মাণ প্রতিষ্ঠান এলিস ডন ও উৎপাদন প্রতিষ্ঠান বোম্বার্ডিয়ার এভিয়েশনের মতো ৩০টি শিল্প কারখানায় জোগান দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার র্যাপিড টেস্ট। যদিও অত্যাবশ্যকীয় কর্মস্থলগুলোতে র্যাপিড টেস্টের সম্ভাব্য চাহিদা রয়েছে সপ্তাহে ৩ লাখ।
এদিকে স্কুলগুলোতে সপ্তাহে ৫০ হাজার পরীক্ষার কথা আগেই ঘোষণা করেছে অন্টারিও সরকার। এর অর্ধেকই হবে র্যাপিড টেস্ট। আগামী সপ্তাহে খোলার পর টরন্টো, পিল ও ইয়র্ক রিজিয়নে র্যাপিড টেস্ট শুরু করার কথা ভাবছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।